কথায় ডিজিটাল ইন্ডিয়া হলেও। নিরক্ষরতার কারণে আজও বহু মানুষ অন্ধকারেই পরে আছেন। পর্যাপ্ত অর্থ আর পারিবারিক শিক্ষার কারণে কত শিশুর শৈশব ফুলের পাপড়ির মতো ঝড়ে গেছে। কিন্তু আজ আমরা এমন একজনের কথা বলব, যিনি শৈশবে তাঁর বাবাকে কালেক্টরি অফিসে অত্যাচারিত হতে দেখে ছিলেন। তারপর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন, বড় হয়ে বাবার উপর হওয়া অত্যাচারের বিচার করবেন।
দরিদ্র অসহায় মানুষের সহায়ক হতে ছোট থেকেই বেশ পরিশ্রমী ছিলেন রোহিণী। উচ্চ শিক্ষা এবং সমাজে প্রতিষ্ঠা হওয়া ছিল তাঁর জীবনের মূল মন্ত্র। রোহিনীর সেই প্রতিজ্ঞা সফল হয়। ইউপিএসসি পাশ করে আইএএস অফিসার হলেন।
রোহিনী মহারাষ্ট্র সোলাপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামের চাষি পরিবারের মেয়ে। সেখানকার এক সরকারি স্কুল থেকে দশম শ্রেণী পাশ করেন। তারপর উচ্চ শিক্ষার জন্য সোলাপুর টাউনে যান। ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন রোহিনী। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ইউপিএসসির জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন।
সরকারি সুবিধা পেতে বারংবার সরকারি দফতরে হানা দিতে হত রোহিনীর বাবকে। এবং প্রতিবারই হতাশার হয়ে বাড়ি ফিরতেন। দিনের পর দিন কালেক্টরের স্বাক্ষরের জন্য তাঁর বাবার এই অক্লান্ত পরিশ্রম রোহিনীকে ভাবিয়ে তুলেছিল। তাঁর বাবার সঙ্গে হওয়া অন্যানের প্রতিবাদ করতে কালেক্টর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ছোট্ট মেয়েটি।
রোহিনীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হল। আজ সে তামিলনাড়ুর সালেম জেলার প্রথম মহিলা কালেক্টর।
Comments are closed.