Assam NRC: কেন নাম বাদ? ১৯ লক্ষ মানুষকে নোটিস পাঠাচ্ছে অসম সরকার

এনআরসি, সিএএ নিয়ে যখন উত্তাল দেশের রাজনীতি, দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন, ঠিক সেই সময় এনআরসি নিয়ে নয়া সিদ্ধান্তের কথা জানাল অসম সরকার। চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা থেকে যে প্রায় ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে, তাঁদের আগামী ২৯ মার্চ থেকে
রিজেকশন স্লিপ পাঠানোর কাজ শুরু হবে। এনআরসি কর্তৃপক্ষই  এই রিজেকশন স্লিপগুলি পাঠাবে।
রিজেকশন স্লিপ কী?
অসম সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই রিজেকশন স্লিপে লেখা থাকবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম এবং এনআরসি তালিকা থেকে কেন বাদ গিয়েছে সেই কারণ। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এই রিজেকশন স্লিপ হাতে পাওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে এনআরসি তালিকায় নাম না থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিয়ম মেনে তালিকায় নাম তোলার জন্য ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করতে পারবে। আগে এই সময় সীমা ৬০ দিন থাকলেও কেন্দ্র তা বাড়িয়ে ১২০ দিন করেছে।
আপত্তি কেন?
বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় এবং অসম সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিভিন্ন বিরোধী দল। ক্ষোভে ফুঁসছে রাজ্যের সাধারণ মানুষও। রাজ্যের গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই ইস্যুতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে গোটা অসম। বিরোধী দলগুলি এবং এনআরসি নিয়ে আন্দোলন করা বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন নিজেদের মধ্যে এ ব্যাপারে পরবর্তী ধাপের আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে কথাবার্তা শুরু করেছে।
উল্লেখ্য গত বছর অগাস্ট মাসে অসমে প্রকাশিত হয় এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা। সেই তালিকা থেকে বাদ যায় প্রায় ১৯ লাখ অসমবাসীর নাম। যার অধিকাংশই বাঙালি। এনআরসি তালিকা থেকে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের নাম বাদ যাওয়া নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। রাজ্যের বিজেপি সরকারও বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। অস্বস্তি এড়াতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রয়োজনে এই তালিকা বাতিল করে ফের গোটা দেশে একসঙ্গে এনআরসি হতে পারে অসমে। কিন্তু এর মাঝেই এনআরসি কর্তৃপক্ষের এই নয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Comments are closed.