নেতাদের কি ভাবা উচিত ছিল না? নোটবন্দি নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বকে কী বলেছিলেন সৌমিত্র চ্যাটার্জি?

সৌমিত্র চ্যাটার্জি বরাবরই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচক। তাঁর মৃত্যুর পর সোশাল মিডিয়ায় ফের ভেসে উঠেছে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে সিএএ-এনআরসি বিরোধী ব্যানারে তাঁর সই করার ছবি। শুধু কি এই ইস্যু? নোটবন্দি নিয়েও বিজেপি নেতৃত্বের উপর বেজায় খাপ্পা ছিলেন সৌমিত্র চ্যাটার্জি। জানেন বিজেপি নেতাকে কী বলেছিলেন ফেলুদা?

দিনটা ছিল ২০১৮ সালের ১৫ জুন। সাত সকালে সৌমিত্রবাবুর গলফ গ্রিনের বাড়িতে হাজির বিজেপির তৎকালীন জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে অমিত শাহ শুরু করেছেন ‘সম্পর্ক সমর্থন’ কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বিজেপি নেতার সৌমিত্র-সাক্ষাৎ। 

মোদী সরকারের নোটবন্দির জেরে সমস্যায় পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। ব্যতিক্রম নন বরাবর সাধারণ জীবন যাপন করা সৌমিত্র চ্যাটার্জি। নিজের দৈনন্দিন সমস্যার কথা সেদিন রাহুল সিনহাকে শোনাতে ছাড়েননি ফেলুদা। বিজেপির তৎকালীন কেন্দ্রীয় সম্পাদককে সাফ বলেছিলেন, নোটবন্দির সিদ্ধান্তে আমি অত্যন্ত অখুশি। এর জন্য আমাদের অনেকরকম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। আমি অর্থনীতিবিদ নই, সব বুঝিও না। কিন্তু রাতারাতি এত অর্থ অচল গেলে সাধারণ মানুষ প্রচণ্ড সমস্যার মধ্যে পড়েন। নীতি নির্ধারণের সময় নেতাদের সে কথা মাথায় রাখা উচিত ছিল না কি? অশীতিপর সৌমিত্রবাবুর প্রশ্নের কোনও উত্তর সেদিন ছিল না বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার কাছে। 

তখন নোটবন্দির পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় দেড় বছর। একইভাবে মোদী সরকারের সিএএ-এনআরসি নিয়ে বিরোধিতায় এগিয়ে এসেছিলেন সৌমিত্র চ্যাটার্জি। নিজের সমস্ত কাজ ফেলে ছুটে গিয়েছিলেন কলেজ স্ট্রীট। সাক্ষর করেছিলেন পড়ুয়াদের দাবিপত্রে। 

যখনই সরকারি নীতির জাঁতাকলে সাধারণের জীবন-জীবিকা বিপন্ন, বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে এগিয়ে এসেছেন সৌমিত্রবাবু। ঠিক যেমন নাগরিকত্ব ইস্যুতে, তেমনই বিজেপির নেতাকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন নোটবন্দি নিয়ে। প্রশ্ন তুলেছিলেন, সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধার দিকে নজর নেই কেন মোদী সরকারের? 

Comments are closed.