কেন্দ্রের খসড়ায় দিনে ৮ এর বদলে ৯ ঘণ্টা কাজের প্রস্তাব, ক্ষুব্ধ শ্রমিক সংগঠনগুলি

সারা বিশ্বেই দৈনিক আট ঘণ্টা পর্যন্ত কাজের নিয়ম স্বীকৃত। কিন্তু কেন্দ্রের নয়া মজুরি বিধির খসড়া নিয়মে দিনে ন’ঘণ্টা কাজের কথা হয়েছে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। এদিকে ন্যূনতম মজুরি নিয়েও ওই খসড়ায় তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। শ্রম মন্ত্রকের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দৈনিক কাজের সময়সীমা হবে ৯ ঘণ্টা। যদিও ন্যূনতম মজুরির ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ কমিটির সিদ্ধান্তের উপরেই আস্থা রাখা হয়েছে খসড়ায়। আগামী এক মাস বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়ার জানার পর এই খসড়া চূড়ান্ত করবে কেন্দ্র।
ভবিষ্যতের বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে তিনটি ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নয়া খসড়া প্রস্তাবে। প্রথমভাগে রয়েছে ৪০ লক্ষ বা তার বেশি জনসংখ্যার মেট্রো শহরগুলি, দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে ১০ লক্ষ থেকে ৪০ লক্ষ জনসংখ্যার ভেতর নন-মেট্রোপলিটন শহর এবং তৃতীয় বর্গে রয়েছে দেশের গ্রামাঞ্চলগুলি। শ্রম মন্ত্রকের খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে ন্যূনতম মজুরির ১০ শতাংশ হবে বাড়িভাড়া ভাতা। কিন্তু তিনটি স্তরে এই ভাতার তারতম্য হবে কি না তার কোনও উল্লেখ নেই খসড়ায়।
কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের এই খসড়া ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ট্রেড ইউনিয়নগুলি। তাদের অভিযোগ, বহু সংস্থাই অলিখিতভাবে কর্মীদের দৈনিক ৯ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করেছে। এবার খাতায় কলমে সেই নীতিকে মান্যতা দিচ্ছে কেন্দ্র। অভিযোগ উঠছে, দৈনিক কাজের সময় বাড়িয়ে দিলে ওভারটাইমের গুনতিও শুরু হবে আরও পরে। সমস্ত বাম ট্রেড ইউনিয়ন আগামী ৮ জানুয়ারি সারা দেশে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়নও বামেদের সঙ্গে আছে। এই মজুরি বিধি ধর্মঘটীদের কাছে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠবে।
এদিকে ধর্মঘটের সমর্থনে বুধবার কলকাতায় এক কনভেন ডাকে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়গুলি। সেখানে নেতারা দাবি করেন, জানুয়ারি মাসের ওই ধর্মঘট হবে সর্বাত্মক।

 

Comments are closed.