কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা শিবসেনার অরবিন্দ সাওয়ান্তের

মহারাষ্ট্রে শিবসেনার নেতৃত্বে সরকার গঠন হবে কি না তা নিয়ে তীব্র চাপানউতোর চলছে। এর মধ্যে এনসিপি-র শর্ত মেনে সোমবার সকালেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন শিবসেনার ক্যাবিনেট মন্ত্রী অরবিন্দ সাওয়ান্ত। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। এর ফলে শিবসেনা ও এনসিপি-র মাখো মাখো সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা আরও তীব্র হল। এনসিপি শর্ত দিয়েছে, শিবসেনাকে এনডিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে তাদের একমাত্র সদস্যকে পদত্যাগ করতে হবে। সেইমতো শিবসেনার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন বটে। তবে এখনও পর্যন্ত শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা সরকারিভাবে জানায়নি। বিকেলের দিকে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন। তাঁর সঙ্গে বৈঠক হবে এনসিপি-র স্ট্রংম্যান শরদ পাওয়ারেরও। কংগ্রেসও দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে বসছে। যদি শিবসেনা আর এনসিপি জোট করে সরকার গঠন করে, তা হলে কংগ্রেস তাতে সামিল হবে, নাকি তারা বাইরে থেকে শিবসেনা ও এনসিপি জোটকে সমর্থন করবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে।
এনসিপি-র উপর পাল্টা চাপ আছে শিবসেনার-ও। উদ্ধবের বক্তব্য, এনসিপিকে ঘোষণা করতে হবে, তারা যেন মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি না করে। তিনি বলেন, অন্যের পাল্কি অনেক বয়েছি। এবার যাতে কোনও শিবসৈনিক পাল্কিতে বসেন, তা নিশ্চিত করতে হবে আমাদের।
সরকার গড়তে সোমবারের মধ্যেই নিজেদের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে শিবসেনাকে। আর সে জন্য এনসিপি ও কংগ্রেসের সমর্থন পেতেই হবে শিবসেনাকে। তা নিয়েই এখন মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে দিনভর তৎপরতা চলছে। বিজেপিকে বাদ রেখেও যে তারা সরকার গড়তে পারে তার ইঙ্গিত বহু আগেই দিয়ে রেখেছে শিবসেনা। গত সপ্তাহে দলের মুখপত্র ‘সামনা’য় লেখা হয়, এনসিপি-র ৫৪ বিধায়ক, কংগ্রেসের ৪৪ এবং নির্দলের কয়েকজন বিধায়ক মিলেই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে পারে শিবসেনা। এদিন বেলায় শিবসেনা-র মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, বিজেপিকে সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপাল অনেক সময় দিয়েছেন। আর আমাদের মাত্র দুদিন সময় দেওয়া হয়েছে। এর পিছনেও বিজেপির অঙ্ক রয়েছে।

Comments are closed.