তাঁর প্রথম পরিচয় তিনি একজন সফল অভিনেতা। পাশাপাশি রাজনীতির সঙ্গেও ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন। এছাড়াও টুকটাক কবিতা লেখা এবং পাঠ করে থাকেন। কিন্তু এসবের বাইরেও তাঁর একটা শিল্পী মন রয়েছে, যেখানে মিশে আছে শৌখিনতা। আর সেই শৌখিন মন ধরা পড়ল রুদ্রনীল ঘোষের বসত ভবনে।
রুপোলি পর্দায় কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে হাওড়া মফস্বলের ছেলেটি কলকাতায় এসেছিল প্রায় দুই দশক আগে। এরপর অভিনয় জগতে নিজের অস্তিস্থ টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে জয়ী হয়ে একে একে স্বপ্ন পূর্ণের পালা শুরু হয়। রুদ্রনীল ঘোষের অনেক স্বপ্নের মধ্যে নিজের তৈরি বাড়ির স্বপ্নও ছিল। বর্তমানে স্টুডিও পাড়ায় ২০০০ বর্গফুটের ডুপ্লে ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি।
ঘরের প্রতি ইঞ্চি নিজের হাতে সাজিয়ে তুলেছেন অভিনেতা। তাঁর ফ্ল্যাটে তিনটি ঘর এবং তিনটি বাথরুম। ডাইনিং রুমের মাঝ বরাবর পাক খেয়ে উঠে গেছে লোহা ও কাঠের ফিনিশিংয়ের সিঁড়ি। যা বেয়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে ডুপ্লের উপর তলায়। সেখানে তাঁর স্টাডি, ওয়র্কস্টেশন, ঘর-লাগোয়া একফালি খোলা ছাদ।
ফ্ল্যাটের প্রতিটি কোণ নানা ভাবে সজ্জিত। বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন যে আঁকার হাত, তারই সদ্ব্যবহার করেছেন অভিনেতা। সেই শিল্পী ভবনাকে কাজে লাগিয়ে দেওয়াল, মেঝে, প্রতিটি ফ্রেমকে সাজিয়ে তুলেছেন। ঘরের বেশির ভাগ আসবাবই কাঠ ও ব্রাসের মিশেলে।
ডাইনিংয়ের দেওয়াল জুড়ে রয়েছে টেলিভিশন স্ক্রিন, বসার ঘরের টিভির পাশে সাজিয়ে রাখা হরেক রকম শো-পিসের মাঝে নজর কাড়ছে এক পেল্লায় বুদ্ধমূর্তি। তাঁর ঘরের বহু আসবাব ও অ্যান্টিক কলকাতার অলিগলি, হস্তশিল্প মেলা কিংবা বিদেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে কিনে আনা।
সবচেয়ে মজার রুদ্রনীলের স্নান ঘর। ঠিক যেন ঘরের মধ্যে ছোট্ট ঘর। একটি কাঠের ফলস দেওয়াল, তাঁর পিছনেই স্নান ঘর। সেখানেও নানান ফুলদানী, সিরামিক শো-পিস দিয়ে সাজানো। আপাত দৃষ্টিতে যা আপনাকে শান্তি দিতে পারে।
বাড়ির মধ্যে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় নিভৃত কোণটি হল ঘরের সঙ্গে লাগোয়া বারান্দা। সেখানে রয়েছে বাহারি গাছ। সেই বারান্দায় রাখা একটি সাদা টিপয় ও দু’টি চেয়ার, যা তাঁর বন্ধুদেরও প্রিয় আড্ডাখানা।
Comments are closed.