কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি (Trade Unions) কল, কারখানায় ছাঁটাই বন্ধের দাবি তুলল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। তারা চায়, আরও নতুন কাজের সুযোগ আসুক, নিশ্চিত কাজের দিন হোক অন্তত ২০০, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ ও বেসরকারিকরণ বন্ধ হোক। বৃহস্পতিবার বিএমএস, সিটু, আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি, এআইসিসিটিইউ, বিএমএস প্রভৃতি ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে এসব নিয়ে দরবার করেন। ওইদিন নির্মলা বৈঠক করেন শিল্প ও বণিকসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও। শিল্পপতিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিক্রম কির্লোস্কার, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, সন্দীপ সোমানি প্রমুখ।
প্রতি বছর বাজেট তৈরির আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই সূত্রেই বৃহস্পতিবার নির্মলা বৈঠক করেন ওই শিল্পপতিদের সঙ্গে। পরে তাঁর কথা হয় ট্রেড ইউনিয়ন (Trade Unions) নেতাদের সঙ্গেও। সূত্রের খবর, অর্থনীতির হাল ফেরাতে শিল্পপতিরা আয়কর কমানো, পরিকাঠামোয় লগ্নি বৃদ্ধি, ব্যবসার পথ মসৃণ করার কথা বলেন। পরে শ্রমিক নেতারা মন্ত্রীকে জানান, সরকার শ্রমবিধি সংস্কারের নামে যা করতে চলেছে, তা আসলে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী। তাঁদের অভিযোগ, একে তো সামাজিক সুরক্ষার কোনও বালাই নেই, তার উপর ছাঁটাই-সহ বিভিন্ন দমননীতির পথ খুলে দিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি সরকার একের পর এক লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে যেভাবে বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে, তাতে আগামী দিনে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।
কেন্দ্রের শ্রমিক নীতির বিরুদ্ধে আগামী ৮ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি সারা দেশে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আবার কৃষক সংগঠনগুলি ওইদিনই ভারত বনধ ডেকেছে। বিজেপি এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন অবশ্য এই ধর্মঘটে নেই। উদ্যোক্তারা আবার নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-র প্রতিবাদকেও ধর্মঘটের ইস্যুর মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে। গত ছয় মাস ধরে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি ধর্মঘটের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে। সিটুর সর্বভারতীয় নেতা তপন সেন জানান, তাঁরা বিএমএস এবং আইএনটিটিইউসিকেও এই বনধের ডাকে সামিল হতে বলেছিলেন। কিন্তু তারা রাজি হয়নি।
Comments are closed.