আদিবাসীদের গো মাংস খাওয়ার পক্ষে সওয়াল করে বছর দুয়েক আগে একটি ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী অধ্যাপক তথা নাট্যকর্মী জিতরাই হাঁসদা। তার জেরে গত শনিবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের জিএসসিডব্লিউ কলেজের বিএড শিক্ষক জিতরাই হাঁসদা। ২০১৭ সালের জুনে ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে গো মাংস খাওয়ার রীতি বহু পুরনো। এটা তাঁদের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার। পাশাপাশি তাঁর সম্প্রদায় ময়ূরের মাংসও খান বলে ওই ফেসবুক পোস্টে লেখেন জিতরাই হাঁসদা। ভারতে গো মাংস নিষিদ্ধ করারও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
এর কিছুদিন পরেই জামশেদপুরের সাকচি থানায় অধ্যাপক হাঁসদার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। সেসময় তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে বলা হলেও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। অন্যদিকে যে কলেজে জিতরাই হাঁসদা পড়াতেন, এবিভিপির চাপে তাঁকে সেখান থেকেও সাসপেন্ড করা হয় বলে অভিযোগ।
কিন্তু ঘটনার দু’বছর পর হঠাৎ জিতরাই হাঁসদাকে গ্রেফতার করা, এমনকি তাঁর আগাম জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে। অধ্যাপক হাঁসদার সমর্থকদের দাবি, পাছে আদিবাসী বিরোধী তকমা লেগে যায়, তাই ভোটের কথা বিবেচনা করে বিজেপি সরকার এতদিন চুপ করে বসেছিল। ভোট মিটতেই তারা নখদাঁত বের করছে বলে মন্তব্য তাদের। প্রশাসনের দাবি, অভিযোগ দায়ের পর থেকে জিতরাই হাঁসদার কোনও খোঁজ মিলছিল না। তাঁর খোঁজ মিলতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
Comments are closed.