জিনস ও টি-শার্টে নিষেধাজ্ঞা, অফিসে আসতে হবে ‘সাধারন’ ও ‘ভদ্রস্থ’ পোশাকে। রাজ্য সচিবালয়ে নোটিস জারি করল বিহার সরকার। অফিসে ‘শোভনতা’ বজায় রাখতেই এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে নীতীশ কুমার সরকারের জারি করা নির্দেশিকায়।
বিহারের নীতীশ সরকারের এক নোটিসে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, রাজ্য সচিবালয়ের অফিসার বা কর্মীরা জিনস ও টি শার্ট পরে অফিস আসতে পারবেন না। বিহার সরকারের উচ্চ সচিব মহাদেব প্রসাদ জানান, কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করছি, কর্মীরা এমন পোশাকে অফিসে আসছেন, যা ‘অফিস সংস্কৃতির’ পরিপন্থী। তাই অফিসের জন্য সঠিক পোশাক নির্বাচন করতে নোটিস জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এখন যে কোনও পদমর্যাদার যে কোনও অফিসার বা কর্মীকে ফর্মাল পোশাকেই অফিসে যেতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মহাদেব প্রসাদ।
কী ধরণের পোশাক পরে আসতে হবে তা বলা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে, অফিসার ও কর্মীদের অতি অবশ্যই সহজ-সভ্য, আরামদায়ক ও হালকা রঙের পোশাক পরতে হবে। সেই সঙ্গে আবহাওয়া এবং অফিসে কী ধরণের কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মী, তা খেয়াল রেখে যেন পোশাক নির্বাচন করা হয় বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
অবশ্য এমন নির্দেশিকা বিহারেই প্রথম জারি হল তা মোটেও নয়। চলতি বছরের জুন মাসে তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকেও পোশাক ফরমান জারি হয়। বলা হয়, অফিসে কোনওভাবেই ক্যাজুয়াল পোশাকে আসা যাবে না। কর্মী ও অফিসারদের তামিল সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই বা ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাক পরে অফিস আসতে বলা হয়। তামিলনাড়ুর রাজ্য সচিব গিরিজা বৈদ্যনাথনের সই সম্বলিত সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, মহিলা অফিসারদের জন্য শাড়ি, সালওয়ার-কামিজ, বা চুড়িদার পরলে অবশ্যই দোপাট্টা থাকতে হবে। আর পুরুষ কর্মীদেরকে তামিলনাড়ুর সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায়, এমন পোশাক নির্বাচনের কথা বলা হয়।