দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ২২ জন ট্যাক্স অফিসারকে অবসর নিতে বাধ্য করল কেন্দ্র

দুর্নীতির মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত ২২ জন ট্যাক্স অফিসারকে অবসর নিতে বাধ্য করল কেন্দ্র সরকার।
স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে এবং চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ইংরেজি দৈনিক ‘ইকোনমিক টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেছিলেন, কর বিভাগে কর্মরত কয়েকজন পদস্থ আধিকারিক ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। প্রধানমন্ত্রী এও হুঁশিয়ারি দেন , আয়করদাতাদের হয়রানি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেন, এ নিয়ে আগেও পদক্ষেপ করেছে তাঁর সরকার, ভবিষ্যতেও করবে। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গত কয়েক দিনে ২২ জন ট্যাক্স অফিসারকে অবসর গ্রহণ করতে বাধ্য করাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত গত জুন মাসেও, রাজস্ব দফতরের ২৭ জন পদস্থ আধিকারিককে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়।
যে ২২ জন অফিসারকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁদের নাম, কে কে উইকে, এস আর পারাতে, কৈলাস ভার্মা, কেসি মন্ডল, এমএস দামোর, আরএস গোগিয়া, কিশোর প্যাটেল, জে সি সোলঙ্কি, এস কে মন্ডল, গোবিন্দ রাম মালভিয়া, এ ইউ ছাপারগেরে, এস অশোকরাজ, দীপক এম গনিয়ান, প্রমোদ কুমার, মুকেশ জৈন, নবনীত গোয়েল, অচিন্ত্য কুমার প্রামাণিক, ভি কে সিং, ডিআর চতুর্বেদী, ডি অশোক, লীলা মোহন সিং এবং ভি পি সিংহ। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, মীরাট এবং চেন্নাই সহ বিভিন্ন শহরের কর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এই অফিসাররা। এঁদের কারও বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকা ঘুষ চাওয়া আবার কারও বিরুদ্ধে ঘুষ হিসেবে সোনা নেওয়ার ইত্যাদি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
গত জুলাই মাসে সংসদে একটি চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। তিনি জানান, অযোগ্যতা এবং দুর্নীতির দায়ে শেষ পাঁচ বছরে ৩১২ জন সরকারি অফিসারকে অবসর গ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে। সংসদে তিনি জানান, ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ এর মে মাস পর্যন্ত ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রেডের প্রায় দেড় লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকের ওপর নজরদারি চালানো হয়। এর মধ্যে ৩১২ জন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও কাজে নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণ পেয়ে তাঁদের অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

Comments are closed.