বিধায়কের পরিবারের লাগাতার হুমকি, ১৫ দিন আগেই উন্নাও কাণ্ডের নির্যাতিতা নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দেন প্রধান বিচারপতিকে
উন্নাও কাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জীবনহানির আশঙ্কা করে নির্যাতিতা তরুণী দু’সপ্তাহ আগেই চিঠি দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে। দাবি করেছিলেন নিরাপত্তার। কিন্তু তার মধ্যে, রবিবারই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। তাতে মৃত্যু হয়েছে নির্যাতিতার কাকিমা ও মাসির। হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন নির্যাতিতা তরুণী এবং তাঁদের আইনজীবী।
ঘটনার ঠিক ১৫ দিন আগে পাঠানো প্রধান বিচারপতিকে হিন্দিতে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৭ ই জুলাই সকাল ৯ টা নাগাদ শশী সিংহের ছেলে নবীন (এই শশী সিংহই তরুণীকে বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারের কাছে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ), বিধায়কের ভাই মনোজ সিংহ, জনৈক কুন্নু মিশ্র এবং আরও দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে আসে। বাড়ির সদর দরজার কাছে গাড়িতে বসেই তারা তরুণীর পরিবারকে হুমকি দেয়। তারা বলে, বিচারকদের কিনে নেওয়া হয়েছে। কুলদীপ ও শশী দ্রুত জামিনে বেরিয়ে আসবে। আর বিধায়ককে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর জন্য জেলে যেতে হবে তরুণীর গোটা পরিবারকে। আমরা কী করতে পারি তার প্রমাণ মহেশ সিংহের মামলায় দেখিয়েছি, বলেও পরিবারকে শাসানো হয়, বলে চিঠিতে লেখা হয়েছে। নির্যাতিতা তরুণীর কাকা মহেশ সিংহ ট্রেন ডাকাতি থেকে শুরু করে হত্যার চেষ্টা, বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত হয়ে বর্তমানে রায়বরেলি জেলে বন্দি রয়েছেন। শেষে পরিবারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, এখনও সুযোগ আছে, আপোসে মিটিয়ে নাও। না হলে পরিণতির জন্য তৈরি থাকো।
চিঠিতে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে আরও লেখা হয়েছে, এই ঘটনার পর দিন শশী সিংহের স্বামী হরিপাল তাঁদের বাড়িতে এসে একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন এবং নির্যাতিতার পরিবারকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেন। কিন্তু আপোসে মিটমাটে রাজি ছিলেন না নির্যাতিতা তরুণী।
চিঠির সঙ্গে সঙ্গে প্রথমদিন গাড়িতে বসে হুমকির ভিডিও রেকর্ডিং প্রধান বিচারপতিকে দেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা। জমা দেওয়া হয় হরিপাল সিংহের একটি ফটোগ্রাফও।
Comments are closed.