ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়ে মার্কিন ড্রোন নামাল ইরান, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাড়তে পারে তেলের দাম, প্রভাব পড়বে ভারতেও
ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করা মার্কিন ড্রোনকে ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়ে নামানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার থেকে হঠাৎই রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রশাসনের দাবি, ‘এমকিউ-৪ সি ট্রিউন’ ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমা না পেরনো সত্ত্বেও সেটিকে গুলি করে নামিয়েছে ইরান। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে তৈরি হওয়া বৈরিতার পরিবেশের মধ্যেই এদিনের ঘটনা নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যার প্রভাব আন্তর্জাতিক তেল বাজারে পড়তে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বাড়তে পারে তেলের দাম, যার ফলে ভারতেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রয়োজনের প্রায় ৮০ শতাংশ জ্বালানি তেলই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় ভারতকে। ইরান ও ভেনেজুয়েলার ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে আগেই তেলের বাজারে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে সৌদি আরব কর্তৃক ওপেক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি অপরিশোধিত তেল উত্তোলন একটা মাত্রায় সীমাবদ্ধ রাখার ঘোষণা করেছে কয়েক দিন আগেই। তার মধ্যে গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আমেরিকা-ইরানের বৈরিতায়। ইরান সরকারের দাবি, বৃহস্পতিবার দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে হরমুজ প্রদেশে একটি মার্কিন ড্রোন ঢুকে পড়ায় ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়ে সেটিকে নামানো হয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের কথায় ইরানের ‘খুব বড় ভুল’ এটি। এরপরেই ইরান আক্রমণের হুমকি দেন তিনি। যদিও পরে পিছু হঠেছেন ট্রাম্প। কিন্তু যুদ্ধের আশঙ্কা যাচ্ছে না। ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলি শামখানির পাল্টা মন্তব্য করেছেন, ইরানের রেড লাইন অতিক্রম করলে ফের জবাব দেবে ইরান। অন্যদিকে, এই হরমুজ প্রণালী দিয়ে বিশাল পরিমাণ জ্বালানি তেলের আমদানি ও রফতানি করা হয়। ড্রোন হামলার পর নজরদারি আরও কড়া হয়েছে সেখানে।
কিন্তু দু’দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ফলে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে বিশ্ব বাজারে, যার প্রভাব পড়তে পারে ভারতেও।
Comments are closed.