রাজ্যে ফিরছে বিধান পরিষদ, মমতার মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাস
নিয়ম বলছে, সংসদের মতোই রাজ্য আইনসভা দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট হতে পারে। উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদ এবং নিম্নকক্ষ বিধানসভা
রাজ্যে বিধান পরিষদ তৈরির কাজ শুরু করল রাজ্য সরকার। একুশের নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দিনই তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছিলেন, ক্ষমতায় ফিরে তাঁর সরকার বিধান পরিষদ গঠন করবে। ঘোষণা অনুযায়ী, তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পাস করিয়ে নিল মমতার সরকার।
সোমবার এই মর্মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাব পাস হয়। মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল অনুমোদন দিলে পরবর্তী নিয়মনীতি তৈরী হবে।
বিধান পরিষদ গঠনের জন্য সংসদে সংবিধান সংশোধনী বিল পাস করতে হবে। বিধানসভার পাশাপাশি রাজ্যসভা এবং লোকসভায় দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিল পাস করাতে হবে।
নিয়ম বলছে, সংসদের মতোই রাজ্য আইনসভা দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট হতে পারে। উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদ এবং নিম্নকক্ষ বিধানসভা।
গত ৫ মার্চ প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছিলেন, দলের যে সিনিয়র নেতৃত্বকে প্রার্থী করা হচ্ছে না, তাঁদের বিধান পরিষদের সদস্য করা হবে।
অমিত মিত্র, পূর্ণেন্দু বসুদের মত একাধিক সিনিয়ার নেতা এবার প্রার্থী হননি। কিন্তু অমিত মিত্র অর্থ দফতর সামলাচ্ছেন। জল্পনা অমিত মিত্রদের বিধান পরিষদের সদস্য করা হতে পারে।
বিধান পরিষদের সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ ভোট দেন না। বিভিন্ন ক্ষেত্রের নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যক্তি, পঞ্চায়েত-পুরসভা স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং বিধায়কদের ভোটের দ্বারা বিধান পরিষদের সদস্য নির্বাচন হয়। সংবিধানের ১৭১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিধান পরিষদের সদস্যের সংখ্যা ওই রাজ্যে বিধানসভার সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি না, আবার ৪০ জনেরও কমও নয়। বিধান পরিষদের মেয়াদ ৬ বছরের জন্য।
বর্তমান মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশে বিধান পরিষদ রয়েছে।
Comments are closed.