সানন্দা টিভিতে ‘সবিনয়ে নিবেদন’ এ একসঙ্গে কাজ করা দু’জনের। ধারাবাহিকের সেটেই বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম…। সেই প্রেম পরিণতি পেয়েছিল বিয়ের মধ্যে দিয়ে। কেরিয়ার জীবনে সৌরভ এবং মধুমিতা যথেষ্ট সফল। কিন্তু তাঁদের বিবাহিত জীবন ততটাও মধুর হল না। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। টলিপাড়ার এই জনপ্রিয় দম্পতির জীবনের কেন এমন পরিণতি? কেন বিবাহে বিচ্ছেদ হল?
সৌরভ চক্রবর্তী নিজে একজন অভিনেতা। এছাড়াও তাঁর অন্য একটি পরিচয় তিনি ছবি পরিচালনা করেন। অন্যদিকে, এই মুহূর্তে টলিউড মহলে অন্যতম মুখ মধুমিতা সরকার। টেলিভিশনের পর্দা ছেড়ে এখন রুপোলি পর্দায় বেশ নাম কামিয়েছেন তিনি।
জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সবিনয় নিবেদন’ এর সেট থেকে মধুমিতা ও সৌরভের বন্ধুত্ব শুরু হয়েছিল। প্রথমদিকে তাঁরা দুজনে দুজনকে পছন্দ করতেন না ঠিকই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে অভিনয় করার সূত্রে ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়, এরপর প্রেমে রূপ নেয় সেই সম্পর্ক। মধুমিতার মা সৌরভকে প্রথম দিকে পছন্দ না করলেও পরবর্তীকালে তিনি মধুমিতার সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছিলেন এবং তাঁদের বিয়ে হয়।
বিবাহ জীবনের শুরুটা হয়েছিল মধুর সম্পর্ক দিয়ে। একাধিক সাক্ষাৎকারে তাঁরা তাঁদের সুখী দাম্পত্যের জীবনের কথা তুলেও ধরেছিলেন। এমনকি তাঁরা একসঙ্গে টিভি কমার্শিয়ালে কাজ করেছেন। দু’জনে মিলে একটি প্রোডাকশন হাউসও খুলেছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্কে হঠাৎই ছন্দপতন হল। মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল মধুমিতা-সৌরভের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর। সেই সময় এক সাক্ষাৎকারে মধুমিতা বিস্ফোরক মন্তব্য, একটি বৈবাহিক সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে জন্য ভালোবাসা শেষ কথা নয়। এই কারণেই তাঁরা বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যদিও পরবর্তীকালে সৌরভের প্রাক্তন স্ত্রী মধুমিতা তাঁর বিরুদ্ধে পরকীয়া অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু সৌরভ তা পুরোপুরি অস্বীকার করে যান। মধুমিতা বারবার মানসিক অত্যাচারের প্রসঙ্গ তুলে আনলেও সে কথা কখনও প্রকাশ্যে আনেননি। ফলে সৌরভ-মধুমিতার বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ আজও ধোঁয়াশাই কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
Comments are closed.