ছবি তুলতে গিয়ে অরিজিৎ সিংয়ের কাছে ধমক খেল তার অনুরাগীরা, সাধারণ পোশাকে বাজারের মধ্যে স্কুটি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন গায়ক, দেখে অবাক সকলেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও
বর্তমানে টলিউড ও বলিউডের প্রথম সারির গায়কদের মধ্যে অন্যতম অরিজিৎ সিং। তার গানের সুরে মোহিত গোটা ভারত। শুধুমাত্র দেশেই নয় বিদেশেও রয়েছে তার অগণিত ভক্ত। প্রিয় গায়ককে সকলেই অন্তত একবার সামনে থেকে দেখতে চান, নিজের কানে লাইভ শুনতে চান তাকে। তবে তিনি যদি হঠাৎ করেই আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মায়ের মত আপনার সামনে হেঁটে চলে বেড়ায় তাহলে হতবাক হতেই হয়। সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটিয়েছেন গায়ক। তার কান্ড দেখে আবারও তার প্রতি মুগ্ধ অনুরাগীরা।
অরিজিৎ সিং একজন এত বড় মাপের গায়ক হয়েও নিজের ব্যক্তিগত জীবন সাধারণভাবেই আর পাঁচটা মানুষের মতো কাটাতে পছন্দ করেন। নিজের পরিবারের সাথেই অবসর সময়টা কাটাতে ভালোবাসেন গায়ক। ব্যক্তিগত জীবনে অতিরিক্ত জাঁকজমক একেবারেই পছন্দ নয় গায়কের। সম্প্রতি এই মুর্শিদাবাদের ছেলেটি একেবারে সাধারণ পোশাকে স্কুটি নিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন বাজারের মধ্যে। যা দেখে রীতিমতো হতবাক হয়ে পড়েছিলেন আশেপাশের লোকজন। অবাক হয়েছিলেন বলাটা শোভনীয়।
প্রিয় গায়ককে সামনে এত সাধারনভাবে দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কেউই। আশেপাশের বেশ কিছুজন অরিজিৎ সিংকে এইভাবে দেখে থমকে গিয়েছিলেন। আবার যারা তাকে সাথে সাথে চিনতে পেরেছেন তারা ক্যামেরা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তার ছবি তোলার জন্য। এই দৃশ্য অরিজিৎ সিংয়ের চোখে পড়তেই তিনি স্কুটি ঘুরিয়ে সামনে এসে দাঁড়ান তার ঐ অনুরাগীদের। হঠাৎ করে গায়ক সামনে এসে যাওয়ায় হকচকিয়ে যান তারাও। এরপরেই ছবি তোলার জন্য তাদের দিনের জোড় ধমক।
অরিজিৎ সিং তার ঐ অনুরাগীদের সামনে গিয়ে বলেন তারা যেন বাজারের মধ্যে এইভাবে ছবি তোলে। কারণ একজন তুললেই সকলে মিলে ভিড় জমাবে। এমনকি তিনি তাদের এও বলেন, তারা যেন তার সাথে অন্য কোথাও গিয়ে ছবি তোলে, বাজারের মধ্যে তারা যেন এমন না করে। তারাও নিজের প্রিয় গায়কের কথা চুপচাপ মেনে নেয়।
ভিডিওটি দেখেই স্পষ্ট করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। কারণ গায়কের পাশাপাশি সকলের মুখেই মাস্ক ছিল। সম্ভবত এটি মুর্শিদাবাদেরই ঘটনা। ভিডিও দেখে তাই মনে হচ্ছে। গায়কের এমন মিষ্টি ভাবে বকা দেওয়ার ভিডিও দেখে সকলেই মজা পেয়েছেন বেজায়। প্রিয় গায়কের কাছে এমনভাবে বকা শুনতে সকলেই রাজি, তা বলাই বাহুল্য।
Comments are closed.