ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ত্রাহি রব। এই পরিস্থিতিতে যখন কেন্দ্রের দায় নিয়ে প্রবল চাপানউতোর চলছে, তখন ঘুরিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে হাহাকারের নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জমায়েতের বিশাল প্রভাব, এমনই দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিকীতে।
ল্যান্সেট, নেচার, দ্য অস্ট্রেলিয়ান, নিউ ইয়র্ক টাইমস মোদী সরকারকে তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে। একের পর এক প্রতিবেদনে উঠে আসছে ১৩৯ কোটি ভারতবাসীর হাহাকার। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিক রিপোর্টে উঠে এলো ভারতে করোনা বিপর্যয়ের নেপথ্য কারণ। বস্তুত, কারণ বহুশ্রুত হলেও, এই প্রথম তা নথিভুক্ত হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে। তাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নেচার বা দ্য ল্যান্সেটের মত বিশ্ববন্দিত জার্নাল যে ভাষায় ভারতে বিপর্যয়ের জন্য সরাসরি মোদী সরকারকে দায়ী করেছে, হু’র সাপ্তাহিকীর সুর তার চেয়ে অনেকটাই নরম। সরাসরি ক্ষমতাসীন সরকারের দিকেও আঙ্গুল তোলেনি তারা। কিন্তু সরাসরি না বললেও যে ভাবে ধর্মীয় (পড়ুন কুম্ভমেলা) এবং রাজনৈতিক (বাংলা সহ বিভিন্ন রাজ্যে ভোট) সমাবেশকে দায়ী করা হয়েছে তাতে এই প্রশ্ন উঠতে বাধ্য যে, বিপর্যয়ের কারণ যদি হয় ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশ তাহলে সমাবেশের অনুমতি বা পরিকল্পনার দায় এড়াতে পারে কি কেন্দ্রীয় সরকার?
হু তার সাপ্তাহিকীতে লিখেছে, ভারতীয় স্ট্রেইনের সংক্রমণ ক্ষমতা বাকিদের চেয়ে অনেকটাই বেশি। ধর্মীয় জমায়েত বা বিশাল রাজনৈতিক র্যালিতে সেই ভ্যারিয়েন্ট আলোর গতিতে ছড়িয়েছে। যার ফল এখন ভোগ করছে ভারত।
Comments are closed.