প্রসেনজিতের সাথে বিয়ের পরে কেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে আর পর্দায় দেখা যায়নি? সেই প্রসঙ্গে ‘দিদি নম্বর ১’ এর মঞ্চে মুখ খুললেন অভিনেত্রী, প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অভিনেত্রী
একসময় টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেত্রী হিসেবে বেশ নামডাক হয়েছিল অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের। তবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই অভিনয় জগতে আর দেখা মেলেনি তার। এই প্রসঙ্গে কৌতুহল থেকে গেছে অনেকেরই। তবে সম্প্রতি অভিনেত্রী হাজির হয়েছিলেন জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় গেম রিয়শ্যালিটি শো ‘দিদি নম্বর ১’এর মঞ্চে। সেখানেই বিয়ের পরে তার অভিনয় জগতে না ফেরা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
অভিনয় জীবনের শুরুর দিন থেকে আজ পর্যন্ত রচনা ব্যানার্জীর সাথে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের একটা বন্ধুত্ব থেকেই গেছে, স্টার ঝলক মিলেছে এদিন ‘দিদি নম্বর ১’এর সেটে। তিনি টলিউডের বুম্বাদার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর কেন আর অভিনয় করেননি? সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলেন স্বয়ং গেম শোয়ের সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জী। এর উত্তরে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০০৩ সালে টলিউডের বুম্বাদার সাথে বিয়ে হওয়ার পরেই ২০০৫-এই তাদের ছেলে তৃষাণজিতের জন্ম হয়। আর তারপর থেকে তাকে নিয়ে এবং সংসার নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী, তাই আর কাজে ফেরার সময় পাননি।
বিয়ের পর তার কাজে না ফেরা নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছিল মিডিয়াতে। এমনকি এই কথাও উঠেছিল, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জন্যই তিনি বিয়ের পরে আর অভিনয় জীবনে ফেরেননি। তবে সেকথা যে পুরোপুরি ভুল, তা তিনি পরিষ্কার হবে বুঝিয়ে দিলেন এদিন ‘দিদি নম্বর ১’এর মঞ্চে। এমনকি মাঝে শোনা গিয়েছিল তাদের সংসার ভেঙে গিয়েছে কারণ তারা আলাদা আলাদা শহরে থাকেন। তবে সেটাও জোর গুজব, তাও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন এদিন। তিনি জানান, বিয়ের পর কাজে না ফেরার সিদ্ধান্তটা একেবারেই তার একান্ত নিজের ছিল।
তিনি সকলের সামনেই এদিন বলেন, জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে তাকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছে। তাকে করে তুলেছে সম্পূর্ণ। প্রথমে অভিনেত্রী হয়ে ওঠা, তারপর সংসারী হয়ে ওঠা, তারপরে মা হয়ে ওঠা, আর তারপরে আবারো কাজে ফেরা সব মিলিয়ে তিনি একেবারে সম্পূর্ণ হয়ে উঠেছেন বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
এরপরই রচনা ব্যানার্জী জিজ্ঞাসা করেন, একজন বাবা হিসেবে এবং একজন পরিবারের সদস্য হিসেবে বুম্বাদার কি ভূমিকা? এর উত্তরে অভিনেত্রী জানান, ব্যস্ততার জন্য অনেক সময় তিনি উপস্থিত থাকতে না পারলেও ছেলের জন্য তিনি সবটা সামলে নেন। তবে সময় সুযোগ পেলে তিনি নিশ্চয়ই যথাসাধ্য সময় দেওয়ার চেষ্টা করেন। সাধারণত মানুষ হিসেবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কেমন? তা জানতে চাইলে অভিনেত্রী জানান, যেহেতু দিনের শেষে তিনি একজন স্টার, তাই সেক্ষেত্রে সেটা সাধারণ মানুষের কাছে একটা হেঁয়ালি হিসেবে থাকাটাই ভালো। সম্প্রতি এই এপিসোডের এই দৃশ্যটুকু শেয়ার হতেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়।
Comments are closed.