বর্তমানে ৫৪৩ জন সাংসদ রয়েছেন লোকসভায়। প্রত্যেকেরই আসন সংখ্যার পৃথক নম্বর রয়েছে। কিন্তু ৫৪৩ টি সিটের মধ্যে ৪২০ নম্বরের কোনও সিট নেই। এর পরিবর্তে ৪১৯ এবং ৪১৯-A সিট নাম্বার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু এর নেপথ্যের কারণ কী?
এই অদ্ভুদ ব্যবস্থার নেপথ্যে রয়েছে একটি মজার কারণ। কোনও ব্যক্তি প্রতারণা, জালিয়াতি, লোক ঠকানোর মতো অপরাধ করলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ‘৪২০’ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়ে থাকে। যারা জেরে আমাদের দেশে ৪২০ সংখ্যাটিকে কার্যত প্রতারণারই সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। কেউ মিথ্যেবাদী বা ছল-চাতুরি করছে বোঝাতেও আমরা ৪২০ কথাটা ব্যবহার করে থাকি।
আগে লোকসভায় ৪২০ অসনসংখ্যাটি ছিল। ১৪তম লোকসভা থেকে ৪২০ সংখ্যাটি বাদ দেওয়া হয়। এক সাংসদের সংখ্যাটি নিয়ে আপত্তি থাকায় তিনি লোকসভার স্পিকারের দ্বারস্থ হন। পরবর্তী সময় ৪২০ এর জায়গায় ৪১৯-A আসনসংখ্যাটি করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৫তম লোকসভায় ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সাংসদ বদরুদ্দিন আজমলের জন্য প্রথম ৪১৯-A আসনটি বরাদ্দ করা হয়।
এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই রসিকতা করে বলছেন, এমনিতে রাজনৈতিক নেতাদের একাংশকে নিয়ে দেশের মানুষের একগুচ্ছ অভিযোগ। নেতারা ভোটের আগে যা প্রতিশ্রুতি দেন, ভোট মিটলেই তা ভুলে যাবেন। তারপর রয়েছে ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যে। এই আবহে ৪২০ আসনে যে সাংসদ বসবেন, তাঁর ‘দূর্ভোগের’ কথা চিন্তা করেই বোধহয় ৪২০ সংখ্যাটি লোকসভা থেকে সরানো হয়েছে।
Comments are closed.