বাঙালি সিরিয়াল প্রিয়। এই সিরিয়াল প্রিয় দর্শকের কাছে বরাবরই “ধূলোকণা” সিরিয়ালটি বেশ জনপ্রিয়। শুরু থেকেই এই ধারাবাহিকটি নিয়ে চলছে প্রচুর আলোচনা সমালোচনা এমনকি এই ধারাবাহিকের লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় কে নিয়েও সমালোচনা করতে ছাড়েননি দর্শক মহল। এই ধারাবাহিকের শুরুর দিকে লালন এবং ফুলঝুরির বিয়ে হবে কিনা সেই নিয়ে প্রবল উত্তেজনায় ছিল দর্শকেরা। প্রচুর জল ঘোলা হওয়ার পর অবশেষে লালন এবং ফুলঝুরির বিয়ে হয়।
লালন ফুলঝুড়ির বিয়ের সানাই যখন বেজেছিল তখন তরতড়িয়ে বেড়ে গেছিল এই ধারাবাহিকের টিআরপি। এমনকি তার জেরে বাংলার সেরা ধারাবাহিকের তকমাও জুটিয়ে ফেলেছিল “ধূলোকণা” সিরিয়ালটি। বর্তমানে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে লালন এবং ফুলজুরি বিয়ের পর প্রথমবারের জন্য হানিমুনে ঘুরতে গিয়েছে সমুদ্রে। সেখানেও বান্ধবী তথা খলনায়িকা শ্রীরূপার চক্রান্ত করে সমুদ্রের জলে ডুবিয়ে দিয়েছিল লালনকে। তারপর আরো অনেক ঘটনা বরণ করার মধ্যে দিয়ে গিয়ে বর্তমানে লালন উঠেছে এক চিকিৎসকের বাড়িতে। জলে ডুবে গিয়ে তার স্মৃতিশক্তি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে।
ইতিমধ্যে ওই চিকিৎসকেরই মেয়ে তিতিরের সঙ্গে বিয়েও ঠিক হয়ে গেছে লালনের। সব ভুলে গিয়ে এখন লালন নিজের বিয়ের আনন্দেই মেতে রয়েছে।
এদিকে আবার লালনের বাড়িতেও সবাই জেনে গেছে যে লালন আসলে মারা যায়নি সে বেঁচে আছে কিন্তু তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়া একটি ক্লিক থেকে জানা গেছে যে এরপর ফুলঝুরি আর বউ মনির সাথে লালনের মা দিদি, লালন কে দেখতে গিয়েছে চিকিৎসকের বাড়িতে। এরপর ধারাবাহিকের পথ কোন দিকে মোড় নেবে, সেই নিয়ে উদ্বিগ্ন দর্শকেরা। লালন কি ফুলঝুরি ও লালনের মায়ের কথা শুনে ফিরে যাবে নিজের বাড়ি নাকি সে দ্বিতীয় বিয়ে করেই নেবে?
Comments are closed.