মোদীর ব্রিগেড থাকতে পারেন মিঠুন চক্রবর্তী। শোনা যাচ্ছে, থাকতে পারেন তৃণমূলের একাধিক নেতাও। মিঠুনের তরফ থেকেও কিছু জানা যায়নি। বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কথায় আমরা অনেক সেলেব্রিটিকে আমন্ত্রণ করেছি। মিঠুন চক্রবর্তীকেও আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
মিঠুনের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনার শুরু হয় ১৬ ফেব্রুয়ারি। ১৫ ফেব্রুয়ারি মিঠুন চক্রবর্তীর মুম্বইয়ের বাড়িতে যান RSS প্রধান মোহন ভাগবত। দীর্ঘক্ষণ কথা হয় দুজনের মধ্যে। যদিও মিঠুন তাকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেন। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই বলেই দাবি করেছিলেন মিঠুন। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে RSS প্রধানের সঙ্গে মিঠুনের সাক্ষাৎ জল্পনার জন্ম দেয়।
এরপরেই মোদীর ব্রিগেড সভায় মিঠুনের উপস্থিতি ঘিরে নতুন করে জল্পনার জন্ম নেয়। এর আগেও সৌরভ গাঙ্গুলি আর প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি ব্রিগেডে মোদীর সভায় থাকতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল।
এর আগে মিঠুন ২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হন। যদিও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিনি ২০১৬ সালে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। মিঠুনের রাজনীতিতে যোগ নতুন কিছু নয়। বাম আমলে সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন মিঠুন। সুভাষ চক্রবর্তী মারা যাওয়ার পর তাঁর স্ত্রী রমলা চক্রবর্তীর হয়ে ভোটের প্রচারে দেখা যায় মিঠুনকে।
এরপর ২০১৪ সালে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে পড়ার পর রাজনীতি ময়দান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন মিঠুন। চিঠি লিখে সারদার টাকা ইডিকে ফেরত দিয়ে দেন মিঠুন।
শনিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। এরআগে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন দীনেশ। রবিবার মোদির সভায় দেখা যেতে পারে দীনেশ ত্রিবেদীকেও।
Comments are closed.