সেন্ট্রাল ভিস্তা: ডিসেম্বরের শীতকালীন অধিবেশন বসতে পারে নয়া সংসদ ভবনে?
করোনা কালে কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ থামানোর দাবি পৌঁছে গিয়েছে আদালতে
ডিসেম্বরে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন নতুন পার্লামেন্ট বিল্ডিংয়ে বসতে পারে। আগামী বছরের প্রজাতান্ত্রিক দিবসের প্যারেড অনুষ্ঠিত হতে পারে নবরূপে তৈরি হতে চলা সেট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউয়ের নতুন পরিসরে। খবর কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে।
করোনা কালে কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ থামানোর দাবি পৌঁছে গিয়েছে আদালতে। এই পরিস্থিতিতে কী মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার? ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকনমিক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, করোনা মোকাবিলার সঙ্গে সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজের কোনও বিরোধ নেই। দুটো কাজ দুই ভাবে চলছে।
কেন্দ্র মনে করছে, প্রধানত কংগ্রেস এই প্রকল্পের বিরোধিতা করতে গিয়ে মিথ্যে প্রচার করছে। তাঁর অভিযোগ, সমগ্র সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের একটি ছোট অংশের কাজ এই মুহূর্তে চলছে, তার জন্য ব্যয় হচ্ছে ১,৩০০ কোটি টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় সরকারের এক আমলার কটাক্ষ, মুম্বাইয়ে বিধায়কদের জন্য বাড়ি তৈরিতে খরচ হয়েছে ৯০০ কোটি টাকা, যেখানে নতুন সংসদ ভবন এবং সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভেনিউ তৈরি করতে একত্রে খরচ হচ্ছে ১,৩০০ কোটি টাকা।
দুটি প্রকল্পের জন্য ভারতে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার আগেই টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। সমগ্র সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। সমস্ত কোভিড বিধি মেনেই দুটি প্রকল্পে ৪০০ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
প্রতিবেদনে দাবি, বিরোধীরা প্রধানত যে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের বন্ধের আর্জি জানাচ্ছেন তার কাজ এখনও শুরু হয়নি।
তাহলে প্রশ্ন হল সেন্ট্রাল ভিস্তার প্রকৃত খরচ কত? সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে তবেই পুরো খরচ জানা যাবে।
মনে করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী এবং উপ রাষ্ট্রপতির জন্য তৈরি আবাস, পৃথক নতুন কেন্দ্রীভূত সেক্রেটারিয়েট সহ মোট ১৩ টি বিল্ডিংয়ের জন্য সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে খরচ হতে পারে ১৭ হাজার কোটি টাকার আশেপাশে। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
কেন্দ্রীয় নগরউন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরি বলেন, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প নিয়ে ক্রমাগত মিথ্যা প্রচার চলছে। এই প্রকল্পের জন্য বহুদিন আগে থেকেই ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের জন্য যা খরচ করছে তার দুগুণ টাকা টিকাকরণের জন্য বরাদ্দ করেছে। তিনি ট্যুইটে জানান, এই বছর শুধুমাত্র স্বাস্থ্যখাতে ৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, আমরা প্রয়োজন সম্পর্কে সচেতন।
Comments are closed.