নির্ধারিত সময়ের আগেই যশের ল্যান্ডফল। ওড়িশায় ল্যান্ডফল হলেও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের দাপট দেখা গেল দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব মেদিনীপুর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, ওড়িশায় আছড়ে পড়লেও যশের দাপটে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পুরুলিয়া, হাওড়া, বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকা। ঘূর্ণিঝড় যশের ল্যান্ডফল হওয়ার পর তার তাণ্ডবলীলা চলে টানা ৩ ঘন্টা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যে থেকেই উপান্নে কন্ট্রোল রুমে থেকে যশের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে রাতভর তহলদারি চালিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বুধবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে জানান, পূর্ব মেদিনীপুরে অন্তত ১৩৪ টি বাঁধ ভেঙ্গেছে। এছাড়াও পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দিঘার সমুদ্র উপকূলে প্রকাণ্ড ঢেউয়ে ভেঙেছে বহু বাড়িঘর। বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে গ্রামে। প্লাবিত গ্রামগুলি থেকে মঙ্গলবারই বহু মানুষকে ত্রান শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধুমাত্র এই এলাকা থেকেই দেড় লক্ষের বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে। আরও মানুষকে সরানোর চেষ্টা চলছে।
স্থলভাগে প্রবেশের সময় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল প্রতি ঘন্টায় ১৫৫ কিমি। ল্যান্ডফলের সময় ওড়িশা-বাংলার সীমান্ত উদয়পুরের সমুদ্র ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। প্রবল জলোচ্ছ্বাস ও ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙে যায় ওয়াচ টাওয়ার সহ বহু বাড়ি ও দোকান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এলাকায় কাজ করছে এনডিআরএফ টিম।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, যশের কারণে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টি চলবে।
যশ মোকাবিলায় উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েছে এনডিআরএফ, সিভিক ভলান্টিয়ার, পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
Comments are closed.