করোনা অতিমারি ও লকডাউনের জেরে বিপর্যস্ত সাধারণের জীবন। গত বছর থেকে শুরু কওরে চলতি বছরে অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে একটু হলেও স্বস্তি দিতে পারে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা।
এই প্রকল্পের অধীনে থাকতে হলে ব্যাংকে জনধন অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এই যোজনায় কেবল দরিদ্র সীমার নিচে থাকা ব্যক্তিরাই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। ব্যাংকে জনধন অ্যাকাউন্ট থাকলে কেন্দ্র সরকারের তরফে একাধিক আর্থিক সুবিধা পাওয়া যাবে।
প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় অ্যাকাউন্ট থাকলে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের মোট ১.৩০ লক্ষ টাকার লাভ দেওয়া হয়। এছাড়া দুর্ঘটনা বিমাও প্রদান করা হচ্ছে। অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে ১ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমা এবং ৩০ হাজার টাকার জেনারেল ইনস্যুরেন্স দেওয়া হয়।
যাঁদের ব্যাঙ্কে জনধন অ্যাকাউন্ট আছে তাঁরা গচ্ছিত টাকার থেকেও সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত তোলার সুযোগ পাবেন। এই টাকা অবশ্য পরে ফিরিয়ে দিতে হবে।
যে কোনও ব্যাঙ্কে এই অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা রয়েছে। জনধন অ্যাকাউন্ট জিরো ব্যালেন্সে খোলা যেতে পারে। এছাড়া আপনার কোনও সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকলে সেটিকে জনধন অ্যাকাউন্টে বদলাতে পারবেন।
জনধন অ্যাকাউন্টের সুবিধা কী কী?
- অ্যাকাউন্ট জিরো ব্যালেন্সে খোলা যাবে।
- সেভিংস অ্যাকাউন্টের সমান সুদ পাওয়া যাবে।
- বিনামূল্যে মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের পরিষেবা মিলবে।
- প্রত্যেক অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনা বিমা পেতে পারেন।
- ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ওভারড্রাফ্ট সুবিধা রয়েছে।
- ক্যাশ তোলা ও শপিংয়ের জন্য মিলবে রুপে কার্ড।
যোজনাঃ
- ১০ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
- এই স্কিমের আওতায় অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে তাঁকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
- যাঁদের আগে থেকেই ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁরাও এই প্রকল্পের আওতায় একটি অ্যাকাউন্টও খুলতে পারে। এমনকি তাঁরা জনধন অ্যাকাউন্টে বদলাতে পারবেন।
- অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য একাধিক ডকুমেন্ট যেমন আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার আইডি, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। তবেই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খুলবে।
প্রধানমন্ত্রীর জনধন যোজনা ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য নিয়ে চালু করেছিলেন। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য দুর্বল শ্রেণীর মানুষ এবং নিম্নবৃত্তদের আর্থিক পরিষেবা দেওয়া। এছাড়াও দেশের সব নাগরিককে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করারও অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।
Comments are closed.