দিল্লি হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আসিফ ইকবাল তানহাকে নিয়ে খবর পরিবেশনের সূত্র কী? সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল জি নিউজ।
হলফনামায় জানাতে হবে কোন সূত্রের ভিত্তিতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো ও উসকানি দেওয়ার খবর টিভিতে পরিবেশন করা হয়েছে। বিচারপতি বিভু বাখরুর প্রশ্ন, যে নথি অভিযুক্তের কাছেই ছিল না, সেটা কীভাবে জি নিউজ জোগাড় করল?
জি নিউজের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, জি নিউজকে এই রিপোর্টের সূত্র প্রকাশ করতে বললে তা হবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। আদালত পাল্টা জানায় পুলিশের কাছে অভিযুক্তের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যা সাধারণ এক্তিয়ারে নেই, কেবল সেটাই সাধারণের সামনে প্রকাশ করা যায় না।
ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর-পুর্ব দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ২৪ বছর বয়সী আসিফ ইকবাল সম্প্রতি আদালতে আবেদন করেন, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তের নানা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের করা প্রতিবেদন সরিয়ে দেওয়া দেওয়া হোক। তাঁর অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক হিংসার আয়োজন ও উসকানি দেওয়ার কথা তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করে নিয়েছেন, এমন তথ্য পরিবেশন করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। কিন্তু হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে জোর করে কিছু কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া এবং বিবৃতি দিতে বাধ্য করে দিল্লি পুলিশ। এবং সেই তথ্যই সংবাদমাধ্যমকে ফাঁস করা হয়। কিন্তু আদালতে দিল্লি পুলিশ সেই অভিযোগ অস্বীকার করায় প্রশ্নের মুখে পড়ল জি নিউজ। নির্দেশ দেওয়া হল এই রিপোর্টের সূত্র জানাতে হবে।
Comments are closed.