প্রিয় ক্লাব মহামেডানকে ৬০ টাকা উপহার অনাথ কিশোর জুলফিকারের, চোখে জল সাদা-কালো কর্মকর্তা থেকে ফুটবলারদের
বাবা-মা দু’জনেই মারা গেছেন ছোটবেলায়। বসিরহাটের একটি মাদ্রাসায় বড় হয়ে উঠছে জুলফিকার আলি। অন্যের সাহায্যে বেঁচে থাকা এই অনাথ কিশোরের। বাবা-মাকে ছাড়া বেঁচে থাকার লড়াই করতে করতে এগিয়ে চলেছে সে। আর এই সব হারানো জীবনেও বেঁচে থাকার প্রেরণা হিসেবে সে বেছে নিয়েছে ফুটবলকে। মহামেডান স্পোটিং ক্লাবের অন্ধ সমর্থক জুলফিকার আলি। প্রিয় ক্লাবের খেলা থাকলে, তাকে দেখতেই হবে। কষ্ট করে হলেও সে চলে আসে মহামেডান মাঠে।
উপার্জনের কোনও রাস্তা নেই তার কাছে। অন্যের সাহায্য যা পায়, তাই অল্প অল্প করে জমিয়ে রাখে। আর এই অতি সামান্য জমানো টাকা দিয়ে এমন একটা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে জুলফিকার, যা মহামেডান কর্তা, কোচ, ফুটবলারদের চোখে জল এনে দিয়েছে। ঈদের সময় অনেকেই দুঃস্থ, অনাথ শিশুদের খুচরো টাকা দিয়ে থাকেন। সেই টাকাই জমিয়েছে সে। ধীরে ধীরে ৬০ টাকা জমিয়েছিল জুলফিকার। না, এই টাকা নিজের জন্য খরচ করেনি।
গত শনিবার মহামেডান ফ্যানস ক্লাব ‘দ্য ব্ল্যাক প্যান্থার্স’, দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগে খেলতে যাওয়ার আগে সাদা-কালো ফুটবলারদের শুভেচ্ছা জানায়। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিল জুলফিকার। নিজের জমানো ৬০ টাকা সে তুলে দেয় মহামেডান ক্লাবের উন্নতিকল্পে। ঘটনাটি আবেগাপ্লুত করে দেয় উপস্থিত সবাইকে। এই সামান্য টাকায় হয়তো কিছুই হবে না মহামেডান ক্লাবের। তবু অনাথ কিশোর জুলফিকারের ভালোবাসা আরও একবার প্রমাণ করল, ফুটবল শুধু খেলা নয়। ফুটবল জীবনের অঙ্গ। মহামেডান ক্লাবের কর্তারা জানিয়েছেন, জুলফিকারের এই সাহায্য তাঁরা যত্ন সহকারে রেখে দেবেন।
Comments are closed.