সুপ্রিম কমিটিতে ভরা কৃষি আইনের সমর্থকরা! আদালতকে নিশানা মহুয়ার

হার্লে ডেভিডসনে চেপে সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশে মিছিলের পরিকল্পনা মহুয়া মৈত্রের

নয়া কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও কৃষকদের মধ্যে অচলাবস্থা কাটাতে চার সদস্যের কমিটি গড়েছে শীর্ষ আদালত। কিন্তু তাঁরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও সময়ে নয়া আইনের সমর্থন করেছেন, এই অভিযোগ তুলে আলোচনায় বসতে বেঁকে বসছে কৃষক সংগঠনগুলি।

এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সিরিজ ট্যুইটে নিশানা করলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
এদিন একটি ট্যুইটে মহুয়া লেখেন, হার্লে ডেভিডসন (বাইক) চেপে সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশে একটা মহিলা মিছিলে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছি।

কয়েক মাস আগে হার্লে ডেভিডসন সিভিও ২০২০-তে বসা দেশের প্রধান বিচারপতির ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। জানা যায়, যে বাইকটিতে প্রধান বিচারপতি বোবদে বসেছিলেন সেটি এক বিজেপি নেতার। তাঁকে নিশানা করে ট্যুইট করায় মামলায় জড়িয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তৃণমূল সাংসদ মহুয়াও সেসময় এক ট্যুইটে লিখেছিলেন, বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার মধ্যে পৌরুষ ফুটে ওঠে না। প্রকৃত পৌরুষের পরিচয় হল ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়ানো। এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে বিশেষ কমিটি গঠন হয়েছে তা নিয়েই এই কটাক্ষ করে মহুয়ার এই ট্যুইট বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

কৃষি আইন নিয়ে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত যে কমিটি গড়ে দিয়েছে, তার সদস্যদের নাম প্রকাশ্যে আসতেই ফুঁসে ওঠেন মহুয়া। তাঁর অভিযোগ, কৃষকদের ন্যায্য বিচার পাইয়ে দেওয়ার ভান চলছে। আর সেটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত ৪ সদস্যের কমিটির দিকে চোখ রাখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন তুলে ধরে মহুয়ার ট্যুইট, সংশ্লিষ্ট কমিটিতে ওই চার জনের রেকর্ড দেখুন।  এটা পক্ষপাতিত্ব নয় তো কী!

এতেই থামেননি তিনি, আর এক ট্যুইটে লেখেন, আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে যা বুঝলাম, ২ মাস অতিরিক্ত সময় পাওয়া গেল, কৃষকদের বাড়ি পাঠানোর ফন্দি হচ্ছে। যাতে কোণঠাসা অবস্থা থেকে সরকারকে ফিরিয়ে আনা যায় আর শেষে কমিটির রিপোর্ট এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেবে। তবে তত দিনে আন্দোলনের গতিই হারিয়ে যাবে।

অন্য এক ট্যুইটে এই তৃণমূল সাংসদের কটাক্ষ, আদালত সরকারকে ‘জেল থেকে মুক্তির’ কার্ড দিয়েছে। কৃষক আন্দোলনের মুখে রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা হওয়া সরকারকে রক্ষা করছে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর আরও কটাক্ষ, আদালত আর আস্থার ভান্ডার নয়।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের গড়া কমিটির প্রত্যেকেই কৃষি আইনের সমর্থক বলে দাবি করে ট্যুইট করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও। তিনি লেখেন, ‘লড়াই জারি থাকবে। এই কমিটি সরকারের মুখপাত্র মাত্র।’

 

Comments are closed.