দ্রুত উন্নয়নশীল দেশের প্রথম ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ভারতের ১১, সবার আগে সিএএ বিক্ষোভে উত্তাল হওয়া আইআইএসসি
কিছুদিন আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরোধিতায় তীব্র প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছিল বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে (আইআইএসসি)। লন্ডনের টাইমস হায়ার এডুকেশনের এমার্জিং ইকনমিজ ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ১০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভারতের যে ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিয়েছে, তাতে প্রথম স্থানে রয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই। আইআইএসসি ছাড়াও যে আইআইটি-গুলিতে সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল তাদেরও বেশ কয়েকটি টাইমস হায়ার এডুকেশনের (THE) ২০২০ সালের এমার্জিং ইকনমিজ ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে।
মঙ্গলবার লন্ডনে প্রকাশিত টাইমস হায়ার এডুকেশনের সমীক্ষায় উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছে ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। বিশ্বের ৪৭ টি দেশের ৫৩৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম ১০০ টি এমার্জিং ইকনমিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ভারতের ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে বিশ্বের দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থার যোগ্যতা অনুযায়ী তালিকা তৈরি করে লন্ডনের টাইমস গ্রুপ। ২০২০ সালে এই তালিকায় অসাধারণ ফল করল ভারত।
ভারতের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কী স্থান?
বিশ্বের প্রথম ১০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এমার্জিং ইকনমিতে ভারতের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি) রয়েছে ১৬ তম স্থানে। ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইআইএসসি-র পর রয়েছে এ রাজ্যের আইআইটি খড়গপুর। গতবারের চেয়ে ২৩ ধাপ এগিয়ে আইআইটি খড়গপুর উঠে এসেছে ৩২ তম স্থানে। ২৮ ধাপ এগিয়ে আইআইটি দিল্লি ৩৮ তম স্থানে এবং গতবারের চেয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে আইআইটি মাদ্রাজ ৬৩ তম স্থান দখল করেছে। এছাড়াও টাইমস হায়ার এডুকেশনের এমার্জিং ইকনমিজ ইউনভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম একশোর মধ্যে রয়েছে আইআইটি রোপার।
২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স’ স্কিম চালু হয়, যে প্রকল্পে অংশ নেওয়া অমৃতা বিশ্ব বিদ্যাপীঠম এই প্রথম টাইমস হায়ার এডুকেশনের সংশ্লিষ্ট তালিকার একশোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। ২০১৯ সালে ১৪১ তম স্থানে থাকা এই প্রতিষ্ঠানটির এ বছর ৫১ তম উঠে আসার প্রধান কারণ সব র্যাঙ্কিং মেট্রিকে তার উল্লেখযোগ্য উন্নতি বলে জানিয়েছে টাইমস হায়ার এডুকেশন।
টাইমস হায়ার এডুকেশনের চিফ নলেজ অফিসার ফিল বেটি বলেন, ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক জারি রয়েছে। অনেক দিন ধরে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে ‘আন্ডারপারফর্মিং’ বলে বিবেচিত হয়েছে। কিন্তু ২০২০ সালের এমার্জিং ইকনমিজ ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে স্পষ্ট, ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বেশ কয়েকটিতে সত্যিকারের উন্নতি হচ্ছে।
২০১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া লন্ডনের টাইমস হায়ার এডুকেশনের র্যাঙ্কিংয়ে এ বছর ভারতের ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা করে নেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ভারত ছাড়া একমাত্র চিনের ৩০ টি বিশ্ববিদ্যালয় টাইমস হায়ার এডুকেশনের সংশ্লিষ্ট তালিকার প্রথম একশোতে জায়গা করে নিয়েছে।
Comments are closed.