বিশ্বের প্রথম ৩০০ য় নেই ভারতের একটিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রথম অক্সফোর্ড, দেশে এক নম্বরে আইআইএসসি বেঙ্গালুরু

ভারতের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও জায়গা পেল না ইংল্যান্ডের টাইমস হায়ার এডুকেশনের বিশ্বের বাছাই করা প্রথম ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। ২০১২ সালের পর আবার দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়েরও ঠাঁই হল না এই তালিকার প্রথম ৩০০ য়।
গতবার প্রথম ৩০০ র মধ্যে জায়গা পাওয়া বেঙ্গালরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সকেও (আইআইএসসি) এবার ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে জায়গা দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসাবে আইআইএসসির গবেষণাক্ষেত্র, শিক্ষাদানের পরিবেশ ইত্যাদি মানদণ্ডের পতনকে নির্দেশ করেছে টাইমস হায়ার এডুকেশন। বেঙ্গালরুর আইআইএসসি ছাড়া আইআইটি রোপার ৩০১ থেকে ৩৫০ এর মধ্যে র‍্যাঙ্ক করেছে। এছাড়া, ইন্দোর আইআইটির র‍্যাঙ্ক ৩৫১ থেকে ৪০০ র মধ্যে।
তবে ভারতের পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির চেয়ে ২০০৮-০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত রোপার ও ইন্দোর আইআইটির র‍্যাঙ্কিং অপেক্ষাকৃত ভালো। গবেষণার মানদণ্ডে রোপার আইআইটির স্কোর ১০০ এবং ইন্দোর আইআইটির স্কোর ৭৭। যা আইআইএসসি ও দেশের অন্যান্য অপেক্ষাকৃত পুরনো আইআইটিগুলোর চেয়ে অনেকটাই ভালো।
প্রতিনিধিত্বের তালিকায় বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রাখা হয়েছে ভারতকে। আর এশিয়ার মধ্যে জাপান ও চিনের পরে তৃতীয় দেশ ভারত। বিশ্বের ১,৩০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারতের ৫৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টাইমস র‍্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পেয়েছে। গত বছর প্রতিনিধিত্বের সংখ্যা ছিল ৪৯। আইআইটি মুম্বই, আইআইটি দিল্লি ও আইআইটি খড়গপুরকে ৪০১ থেকে ৫০০ র‍্যাঙ্কিংয়ের বন্ধনীতে রেখেছে টাইমস হায়ার এডুকেশন। এর মধ্যে আইআইটি খড়গপুর ও আইআইটি দিল্লি গত বছরের চেয়ে ১০০ র‍্যাঙ্ক এগিয়ে এসেছে।
টাইমস হায়ার এডুকেশনের র‍্যাঙ্কিংস এডিটর এলি বোথওয়েল জানান, বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষায় ভারতের প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, কোনও ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের ৩০০ র মধ্যে না আসাটা হতাশাব্যঞ্জক। ভারতের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগের চেয়ে উন্নতির স্বাক্ষর রেখেছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের দরবারে ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জায়গা করে দেওয়ার জন্য বিদেশি পড়ুয়াদের আকৃষ্ট করা, শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে ভারত সরকারের প্রচেষ্টা লক্ষ্যণীয়। কিন্তু প্রচেষ্টার পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে বড় বিনিয়োগ না করলে অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের নিরিখে ভারতের আরও পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বোথওয়েল।
চিনের ২৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রথম ২০০ র‍্যাঙ্কে জায়গা করে নেওয়ায় এশিয়ার মধ্যে তারাই প্রথম স্থানে। অন্যদিকে, চতুর্থবারের জন্য টাইমস হায়ার এডুকেশনের তালিকায় প্রথম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি পঞ্চম স্থান থেকে এবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম তালিকায় রয়েছে কেমব্রিজ, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)।

Comments are closed.