বিধানসভার শেষ কাজের দিনে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত দাস এবং নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংহ দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। ২ বিধায়ক কী কারণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। তাহলে কি তৃণমূলে ফেরার সলতে পাকানো শুরু হল? সূত্রের খবর, দু’জনেই তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
সূত্রের খবর, বিশ্বজিত দাস ঘরে ঢুকেই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করেন। মিনিট ২০ পর সুনীল সিংহ বেরিয়ে যান। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় তৃণমূলে ফিরছেন কি? বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের নিকটাত্মীয় সুনীল সিংহ জানান, উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে কথা বলতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছিলেন। তা নিয়েই কথা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বিধানসভার কার্যকালের শেষ দিন কোন উন্নয়নমূলক কাজের দরবারে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ২ বিধায়ক গেলেন মমতা ব্যানার্জির কাছে?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তৃণমূলে ফেরা নিয়ে কথা না হলেও অধিবেশনের শেষ দিন ২ বিজেপি বিধায়কের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল, সুনীল ও বিশ্বজিত মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ঢোকার পরই ডাক পড়ে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার নেতৃত্বের। দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে পৌঁছন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিকরা। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক অবশ্য ওই দু’জনের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি এমএলএ ফান্ড নিয়ে সুনীল ও বিশ্বজিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, শিয়রে নির্বাচন। এর মধ্যে অধিবেশনের শেষ দিন ঠিক কী ধরনের উন্নয়ন নিয়ে কথা বললেন তাঁরা? জল্পনা তুঙ্গে।
Comments are closed.