মৃত প্রৌঢ়া জেগে উঠলেন সৎকারের আগ মুহূর্তে! মহারাষ্ট্রে অবাক করা ঘটনা
৭৬ বছর বয়সী শকুন্তলা গায়কোয়াড় করোনা সংক্রমিত হন কয়েকদিন আগে
শেষ যাত্রার জন্য সবরকম প্রস্তুতি সারা, পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। আত্মীয় স্বজনরাও চলে এসেছেন। মরদেহ শববাহী গাড়িতে তোলা হয়েছে। আর মাত্র কিছুক্ষণ তারপরই চির বিদায়। এমন সময় ঘটল এক আশ্চর্য কাণ্ড! চোখের উপর রাখা তুলসী পাতা সরিয়ে কাঁদতে শুরু করল লাশ! আশ্চর্য ঘটনাটি ঘটছে মহারাষ্ট্রের বারামতির মুধালে গ্রামে।
৭৬ বছর বয়সী শকুন্তলা গায়কোয়াড় করোনা সংক্রমিত হন কয়েকদিন আগে। হোম আইসোলেশনেও ছিলেন। গৃহবন্দি থাকাকালীন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি প্রৌঢ়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
১০ মে পরিবারের লোকজন বারামতির এক হাসপাতাল নিয়ে যান প্রৌঢ়াকে। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও পরিবারের বেডের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়। বেডের জন্য যখন পরিবারের লোকজন ছোটাছুটি করছিলেন তখন ওই বৃদ্ধা গাড়িতেই জ্ঞান হারান। ডাকাডাকি করেও বৃদ্ধা সাড়া দেন না। পরিবারের লোকজন ধরে নেন বৃদ্ধা মৃত। সেই মত শুরু হয় কান্নাকাটি, সৎকারের প্রস্তুতি। আর তখনই সবাইকে চমকে দিয়ে ৭৬ বছরের শকুন্তলা দেবী চোখ খুলে উঠে বসেন।
পুলিশকর্মী সন্তোষ গায়কোয়াড জানাচ্ছেন, এই আশ্চর্য ঘটনাটি ঘটেছে বারামতির মাধুলে গ্রামে। অসুস্থ শকুন্তলা দেবীকে আবার তড়িঘড়ি বারামতির সিলভার জুবিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
প্রৌঢ়ার এভাবে ফিরে আসায় স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের লোকজন ভীষণ খুশি। এই আশ্চর্য ঘটনা জানাজানি হওয়ায় খুশির হাওয়া মুধালে গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যেও। তাদের প্রার্থনা, প্রত্যেকের সঙ্গেই যেন এমন হয়।
Comments are closed.