অঙ্গদানের কাগজে সাক্ষর করে দিয়েছেন বাবা, মা। চিকিৎসকরাও লাইফ সাপোর্ট ব্যবস্থা খুলে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। এমন সময় চোখ খুলে তাকালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালবামার ১৩ বছরের কিশোর ট্রেনটন ম্যাককিনলে। অ্যালবামা শহরের একটি হাসপাতালে সোমবারের এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন বিশ্বের তাবড় চিকিৎসকরা। তাঁরা ইতিমধ্যেই ওই কিশোরকে ‘মিরাকেল বয় ট্রেনটন’ বলে ডাকতে শুরু করেছেন। ‘ইউএসএ টুডে’ তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে প্রায় দু’মাস আগে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ওই কিশোর। চিকিৎসকরা ট্রেনটনের বাবা-মাকে জানিয়ে দেন, তাঁদের ছেলের ব্রেনডেথ হয়েছে। এরপরেও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশা নেই জেনেও প্রায় দু’মাস তাঁদের কিশোর পুত্রকে জীবনদায়ী ব্যবস্থায় রাখেন বাবা-মা। কিন্তু ব্রেন ডেথ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও জীবনদায়ী ব্যবস্থায় বেশি দিন রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে ওই কিশোরের অঙ্গগুলি। চিকিৎসকরা বাবা-মাকে বোঝান, ট্রেনটনের দান করা অঙ্গে কমপক্ষে পাঁচটি শিশু নতুন করে জীবন ফিরে পেতে পারে। সেই মতো হৃৎপিন্ড, কিডনি, কর্ণিয়া, লিভারের জন্য পাঁচ জন গ্রহীতাকে বাছাই করা হয়। তবে তার আগেই ঘটে যায় সেই ঘটনা। বিস্মিত চিকিৎসকররা জানিয়েছেন, এর পর জীবনদায়ী ব্যবস্থা সরিয়ে নিলেও স্বাভাবিকভাবে নিশ্বাস নিতে শুরু করে ওই কিশোর। কাজ শুরু করে তার থমকে যাওয়া মস্তিষ্ক। সোমবার সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের এই টানা দু’মাস কোমায় থাকার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে ট্রেনটন জানিয়েছে, সে ঈশ্বরের কাছে গিয়েছিল। আবার পৃথিবীতে ফিরে এসছে। আপাতত ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ট্রেনটনের বাবা-মা।