ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ডেকে পাঠালো সিবিআই, আরটিআই সংশোধনী বিলের বিরোধিতার জন্যই তলব, অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের
এবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ এবং দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার প্রকাশক ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ডেকে পাঠালো সিবিআই। ২৫ শে জুলাই, বৃহস্পতিবার ডেরেক ও’ব্রায়েনকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজেই ট্যুইট করে এ কথা জানিয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। ট্যুইটে ডেরেক লিখেছেন, ২৫ শে জুলাই দুপুর ২ টোয় তৃণমূল আরটিআই সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে রাজ্যসভায় প্রস্তাব আনে, আর ঠিক সেই সময়ই তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। ট্যুইট বার্তায় ডেরেকের ইঙ্গিত, রাজ্যসভায় আরটিআই বিলের বিরোধিতা করার জন্যই এই নোটিস পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে।
এর আগেও জাগো বাংলার সম্পাদক এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতা সুব্রত বক্সিকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কেও রোজভ্যালি কাণ্ডে ডেকেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি, সম্প্রতি অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে ডেকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট।
সম্প্রতি ২১ শে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ থেকে সিবিআই, ইডির সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শতাব্দী রায়ের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থা যাঁকে-তাঁকে ডেকে পাঠাচ্ছে, হেনস্থা করছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সবাইকে ডেকে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিবিআই তাঁকে ডাকলেও তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন না।
সূত্রের খবর, জাগো বাংলা সংবাদপত্র বিভিন্ন চিট ফান্ড থেকে যে বিজ্ঞাপন পেয়েছে সেই ব্যাপারেই ডেরেক ও’ব্রায়েনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। এর আগেও এই ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
Comments are closed.