ঝাঁ চকচকে কর্পোরেট জগতে টিকে থাকার মন্ত্র কুল এবং ট্রেন্ডি থাকা। আর তাই সমূলে বলিরেখা মুছতে উঠে পড়ে লেগেছে আইবিএম, গুগল বা অ্যামাজন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি একটি আইনি শুনানিতে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন আইবিএম থেকে ছাঁটাই হওয়া এক চল্লিশোর্ধ আধিকারিক। সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে সংস্থা এই কারণে ছাঁটাই করেছে সর্বস্তরের ১ লক্ষেরও বেশি কর্মীকে।
প্রাক্তন আইবিএম কর্তা ৬১ বছরের জোনাথন ল্যাঙলের অভিযোগ, চেহারায় জেল্লা ধরে রাখতে না পারার জন্য তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে আইবিএমের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন তিনি। সেই মামলার শুনানিতেই উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। জোনাথনের দাবি, সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে পারফরমেন্স ভালো থাকা সত্ত্বেও বয়স্ক অথচ অভিজ্ঞ কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে, সেই জায়গায় নতুন নতুন লোক নেওয়া হচ্ছে, যাঁরা কর্তৃপক্ষের ভাষায় কুল এবং ট্রেন্ডি।
যদিও আইবিএমের তরফে এমন গুরুতর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ১০৮ বছরের সংস্থা আইবিএম বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বছরে ৫০ হাজার লোককে আমরা চাকরি দিই। তাঁদের গড়ে তুলতে খরচ করি প্রায় ৫ লক্ষ মার্কিন ডলার। ফলে অভিজ্ঞতাই আমাদের পাথেয়।
কিন্তু আইবিএমের বিবৃতিতে বিশ্বাস করতে রাজি নন ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, ফেসবুক, গুগল, অ্যামাজনের পথ ধরেই অফিসে বেশি বেশি করে যুবক-যুবতীদের নিয়ে আসার নীতি নিয়েছে সংস্থা। বলিরেখা বা পাঁকা চুলের সেখানে প্রবেশ নিষেধ।
নিউইয়র্কের ইনভেস্টিগেটিভ জার্নাল প্রো-পাবলিকা গত মার্চে একটি সমীক্ষা চালায়। তাতে উঠে এসেছে, গত ৫ বছরে আইবিএম অন্তত ২০ হাজার আমেরিকান কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। তাঁদের প্রত্যেকের বয়স ৪০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে। কেবলমাত্র আমেরিকাতেই এই হাল হলে, গোটা বিশ্বে কী পরিস্থিতি, ভেবে দেখতে বলছেন জোনাথন ল্যাঙলরা।
Comments are closed.