সোমবার সকাল এগারোটা নাগাদ রাজ্যসভায় জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া এবং সমগ্র অঞ্চলকে দু’ভাগে ভাগ করে দুটি পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করার ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরই বিরোধিতায় উত্তাল হয় রাজ্যসভা। সেই সময় একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে ডেরেক অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে, সকাল থেকেই দক্ষিণপন্থীদের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পদক্ষেপকে ফাইনাল সলিউশন হিসেবে বর্ণনা করে প্রচার চলছে। ডেরেকের প্রশ্ন, কীসের ফাইনাল সলিউশন? রাজ্যসভায় ডেরেক জানান, ১৯৪২ সালে ইহুদি গণহত্যার জন্য নাৎসি পরিকল্পনার কোডনেম ছিল ‘ফাইনাল সলিউশন’। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়াকে কেন্দ্রীয় সরকার কি ‘ফাইনাল সলিউশন’ হিসেবে দেখছে? বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করে অমিত শাহকে ডেরেক ও‘ব্রায়েনের প্রশ্ন, কাশ্মীরের মানুষকে দেশের মূলস্রোতের অন্তর্ভুক্ত করা কি তাহলে সরকারের লক্ষ্য নয়?
এরপর ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, সোমবার সকাল এগারোটা থেকে সংসদে যে সাংবিধানিক ব্যাভিচার ও পদ্ধতিগত আত্মঘাত সংগঠিত হল তৃণমূল তার বিরুদ্ধে। নিদারুণ যন্ত্রনায় তাই ওয়াকআউট করতে বাধ্য হচ্ছি, বলেন ডেরেক। তারপরই রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করে তৃণমূল।
এর পর রাজ্যসভায় বিল ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে যায় ১২৫-৬১ ভোটে। তৃণমূলের পাশাপাশি ভোটদানে বিরত ছিল জেডিইউ এবং এনসিপি। সংবিধান ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানানোয় পিডিপির দুই সাংসদকে মার্শাল দিয়ে কক্ষের বাইরে বের করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্গাইয়া নাইডু। তাই পিডিপিও ভোট দিতে পারেনি।
Comments are closed.