মন্দার আঁচ এবার তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও। খরচ কমাতে এবার কর্মী নিয়োগ নীতিতে বড়সড় বদল আনছে মার্কিন টেক জায়ান্ট কগনিজেন্ট। ব্যয় সঙ্কোচনের লক্ষ্যে এবার কম সংখ্যক কর্মী নিয়োগ ও আধিকারিকদের অফিস সংক্রান্ত ভ্রমণের খরচে কাটছাঁটের পথে যাচ্ছে তারা। যার প্রভাব পড়তে চলেছে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও।
সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে গাড়ি শিল্পে অন্ধকার নেমে এসেছে। অর্থনীতির বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, সামগ্রিকভাবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতেই আসতে চলেছে বিরাট ধাক্কা। গাড়ি শিল্পে মন্দা সেই বৃহত্তর মন্দারই অংশ বলে মনে করছেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পেও আগেভাগেই খরচ কমানোর পথে হাঁটতে শুরু করছে সংস্থাগুলো। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আইটি সেক্টরে কগনিজেন্টের হাত ধরেই সেই পদক্ষেপের শুরু।
কগনিজেন্টের প্রাথমিক লক্ষ্য, কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়ম ও ভ্রমণ খরচ বেঁধে দিয়ে বছরে অন্তত ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় করা। কগনিজেন্টের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার কারেন ম্যাকলাফলিন জানিয়েছেন, এবছরের শেষ অর্ধের মধ্যে সংস্থার কাজের নিরিখে প্রতিভাবান কর্মীদের ধরে রাখার পাশাপাশি ডিজিটাল সলিউশন কিংবা মানুষের উপর নির্ভরতা কমিয়ে ক্রমশ যন্ত্র নির্ভরতা বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আজকের প্রেক্ষাপটে সংস্থার কাছে এই পদক্ষেপই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়েছে। শুধু তাই নয়, আরও বেশ কিছু জায়গায় খরচ কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে কগনিজেন্ট। যেমন সংস্থার অভ্যন্তরীণ ও ‘ক্লায়েন্ট ফেসিং’ মিটিংয়ে যতটা সম্ভব ভ্রমণ এড়ানো যায়, তার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ২০১৯ সালের দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু নীতি আনতে চলেছে কগনিজেন্ট। সংস্থার সিএফও জানাচ্ছেন, তাঁদের লক্ষ্য ‘গ্রেটার ডিসিপ্লিন’। তাই কম কর্মী নিয়োগ, ভালো প্রতিভাদের কাজে লাগানো এবং আপাত অপ্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে খরচ কমানোর দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
ভারতের বাজারে কগনিজেন্টের মূল প্রতিপক্ষ টিসিএস ও ইনফোসিস। ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে অন্য দুই সংস্থার থেকে কগনিজেন্টের আয় বেড়েছে প্রায় ৩.৪ শতাংশ। কিন্তু ২০১৯ সালের মধ্যে ৩.৯ শতাংশ থেকে ৪.৯ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে কগনিজেন্ট। সেই লক্ষ্যে এই সংস্কার কতটা ফলদায়ী হয়, সেটাই এখন দেখার।
Comments are closed.