একপ্রস্থ নাটকের পর বুধবার রাতে আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ পি চিদম্বরমকে। কিন্তু এই আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় কীভাবে জড়িয়ে পড়লেন চিদম্বরম? তাঁর গ্রেফতারির পিছনে কী ভূমিকা ইন্দ্রাণী মুখার্জির? এক নজরে আইএনএক্স মামলার টাইমলাইন।
১৫ ই মে ২০১৭– ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ড বা এফআইপিবির ছাড়পত্রের ভিত্তিতে আইএনএক্স মিডিয়া ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকা পেয়েছে, এই অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। ২০০৭ সালে দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন পি চিদম্বরম।
১৬ ই জুন, ২০১৭– চিদম্বরম পুত্র কার্তির বিরুদ্ধে ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা এফআরআরও এবং ইমিগ্রেশন ব্যুরো লুক আউট সার্কুলার বা এলওসি জারি করে। এফআরআরও এবং ইমিগ্রেশন, দুই সংস্থাই সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতাধীন।
১০ ই অগাস্ট, ২০১৭– কার্তি চিদম্বরম এবং আরও ৪ জনের বিরুদ্ধে জারি হওয়া এলওসি বা লুক আউট সার্কুলার স্থগিত করে দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
১৪ ই অগাস্ট, ২০১৭– মাদ্রাজ হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট।
১৮ ই অগাস্ট, ২০১৭– কার্তি চিদম্বরমকে ২৩ শে অগাস্ট সিবিআইয়ের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭– সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে কার্তি চিদম্বরমের বিদেশ যাত্রা বন্ধ করার আবেদন জানায়। আবেদন পত্রে সিবিআইয়ের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, বিদেশ যাত্রার অছিলায় কার্তি প্রমাণ লোপাটের জন্য বিভিন্ন বিদেশি ব্যাঙ্কে থাকা অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করতে পারেন।
৯ ই অক্টোবর, ২০১৭– মেয়েকে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করাতে তাঁর সেখানে পৌঁছনো প্রয়োজন, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন কার্তি চিদম্বরম। তিনি যে বিদেশে গিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করবেন না, তার গ্যারান্টি হিসেবে লিখিত দিতেও রাজি, বলে আবেদনে উল্লেখ করেন কার্তি। পি চিদম্বরম সুপ্রিম কোর্টকে বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই তাঁকে এবং তাঁর ছেলেকে হেনস্থা করছে বিজেপি সরকার।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭– মেয়ের ভর্তির জন্য কার্তি চিদম্বরমকে বিদেশ যাত্রার অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭– এয়ারসেল-ম্যাক্সিস চুক্তি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা শমনকে চ্যালেঞ্জ করে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কার্তি চিদম্বরম।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮– চিদম্বরম পুত্রের ব্যক্তিগত সচিব এস ভাস্কররমণকে আর্থিক নয়ছয়ে কার্তি চিদম্বরমকে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮– বিদেশ থেকে ফেরার পথে চেন্নাই বিমানবন্দরে নামতেই সিবিআই গ্রেফতার করে কার্তি চিদম্বরমকে। তাঁকে চেন্নাই থেকে দিল্লি আনা হয়।
২৩ শে মার্চ, ২০১৮– ২৩ দিন জেলে থাকার পর জামিন পান কার্তি চিদম্বরম।
২৫ শে জুলাই ২০১৮– পি চিদম্বরমকে গ্রেফতারিতে রক্ষাকবচ প্রদান করে হাইকোর্ট।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮– আইএনএক্স মিডিয়া আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ভারত, ইংল্যান্ড এবং স্পেনে কার্তি চিদম্বরমের ৫৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। গোটা ঘটনাটিকে উদ্ভট বলে বর্ণনা করেন পি চিদম্বরম।
১১ ই জুলাই, ২০১৯– নিজের সন্তানকে খুনের অভিযোগে জেলবন্দি ইন্দ্রাণী মুখার্জি আচমকাই রাজসাক্ষী হওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন। তাঁর সেই আবেদন মেনে নেয় সিবিআই। আদালতে আইএনএক্স মিডিয়ায় অন্যতম কর্ণধার ইন্দ্রাণী মুখার্জি সিবিআইয়ের কাছে দেওয়া বয়ানকে সত্যি বলে স্বীকার করেন।
২০ শে অগাস্ট, ২০১৯– পি চিদম্বরমের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্ট।
Comments are closed.