কেরলজুড়ে পুরসভা ও পঞ্চায়েত মিলিয়ে ২৭ টি ওয়ার্ডে উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হল। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) পেয়েছে ১৫ টি আসন। বাম গণতান্ত্রিক জোটের (এলডিএফ) দখলে ১১ টি আসন। একটি আসন পেয়েছে বিজেপি।
এই ফলে একদিকে যেমন আশার আলো দেখছে কংগ্রেস অন্যদিকে লোকসভায় সম্পূর্ণ ভরাডুবির পর এই ফলকে ইতিবাচক বলে মনে করছে সিপিএমও। যদিও গতবার জেতা ৩ টি আসন বাম গণতান্ত্রিক জোট হারিয়েছে ইউডিএফের কাছে। একটি আসন তাদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে কেরলে উপস্থিতি প্রমাণে মরিয়া বিজেপি।
বেশ কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণের রাজ্য কেরলকে পাখির চোখ করেছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। বারবার রাজ্যে এসেও সভা করে গেলেও লোকসভায় খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু স্থানীয় পুরসভা এবং পঞ্চায়েতের উপনির্বাচনে তিরুবন্তপুরম জেলায় কারোডে পঞ্চায়েতের কান্থাল্লুর আসনটি সিপিএমের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে গেরুয়া ব্রিগেড। তবে সেখানেই থামতে হয়েছে তাদের। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফের কাছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ হারিয়েছে ৩ টি আসন। যদিও ইউডিএফের হাত থেকে তারা ছিনিয়ে নিয়েছে একটি আসন।
গতবারের চেয়ে খারাপ ফল হলেও, ১১ টি আসন জেতাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন কেরলের বাম নেতারা। তাঁদের দাবি, লোকসভায় বিপর্যয়ের পর ১১ টি আসন জয়ের ভিন্ন তাৎপর্য আছে। ফলে তুলনামূলক বিচার করলে লোকসভার পরিস্থিতি ক্রমেই বদলাচ্ছে। তাই গতবারের চেয়ে ফল তুলনামূলকভাবে খারাপ হলেও, লোকসভার শোচনীয় ফলের নিরিখে তা বাড়তি ইঙ্গিতবহ। এমনটাই মনে করছে সিপিএম। তাদের দাবি, কেরলে বাম জোটের সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাতে লেগেছে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ছাপ। তা উপেক্ষা করে যেভাবে ১১ টি আসন জেতা গেছে, তাতে স্বস্তিতে কেরলের সিপিএম নেতৃত্ব। ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে এই ফল বামেদের বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
আবার একই ফর্মুলায় খুশির বাণ ডেকেছে কংগ্রেস শিবিরেও। লোকসভায় দেশে হাত চিহ্নের ভরাডুবির প্রেক্ষিতে কেরলের পুরসভা ও পঞ্চায়েতে উপনির্বাচনের ফল দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দেবে বলে দাবি কংগ্রেস শিবিরের।
Comments are closed.