সোশ্যাল মিডিয়ায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করে সাসপেন্ড হলেন আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক-চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী।
ত্রিপুরার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ কৌশিক চক্রবর্তী নাগরিক সংশোধনী বিলের সমালোচনা করে ট্যুইটারে ও ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। সেই পোস্টে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবেরও সমালোচনা করেছিলেন।
এই প্রেক্ষিতে গত ২ রা অগাস্ট তাঁকে শো-কজ নোটিস পাঠায় ত্রিপুরা স্বাস্থ্য দফতর। শো-কজ নোটিসে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করেছেন চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে তাঁর বিরূপ মন্তব্য রাজ্যের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বৈরিতা সৃষ্টি করতে পারে। শো-কজ নোটিসে অভিযোগ আনা হয়, একজন সরকারি আধিকারিক হিসাবে এমন মন্তব্য করে সিভিল সার্ভিস কনডাক্ট রুল ভঙ্গ করেছেন ডাঃ কৌশিক চক্রবর্তী।
ইংরেজি নিউজ পোর্টাল The Wire সূত্রে খবর, অভিযুক্ত চিকিৎসকের কাছে শো-কজ নোটিসে জানতে চাওয়া হয়, সরকারি বিধিভঙ্গের অভিযোগে কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না স্বাস্থ্য দফতর? এর প্রতিক্রিয়ায় গত ১৯ শে অগাস্ট চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী লেখেন, তাঁর কোন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এই অভিযোগ আনা হয়ছে, তা না জানা পর্যন্ত তিনি ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না। সূত্রের খবর, এরপর ত্রিপুরার মেডিকেল এডুকেশনের ডিরেক্টর চিন্ময় বিশ্বাস একটি চিঠি পাঠান কৌশিক বাবুকে। সেইসঙ্গে তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলের ৩ টি ট্যুইটের স্ন্যাপশট পাঠানো হয়। এই চিঠি পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে কৌশিক চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। এরপর ১১ ই সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য দফতরকে পাঠানো প্রতিক্রিয়ায় অভিযুক্ত চিকিৎসক লেখেন, তিনি এই মন্তব্যগুলো কোনও সরকারি আধিকারিক হিসাবে নয়, স্বাধীন ভারতের নাগরিক হিসাবে করেছেন।
যদিও চিকিৎসকের এই প্রতিক্রিয়ায় খুশি নয় ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। গত ২১ শে অক্টোবর কৌশিক চক্রবর্তীকে সাসপেনশনের চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সরকারি অনুমতি ছাড়া তিনি আগরতলা ছাড়তে পারবেন না বলেও নির্দেশ রয়েছে।
Comments are closed.