গত পাঁচ বছরে দেশে স্নাতকদের কর্মসংস্থান (Employment) ৩৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ শতাংশ। কিন্তু জানেন কি, কোন কোন ক্ষেত্রের স্নাতকদের চাকরি বেড়েছে বিগত পাঁচ বছরে? কাদেরই বা ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে কর্মসংস্থানের হার তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমেছে?
হুইবক্স, পিপল স্ট্রং এবং সিআইআই-এর এক স্কিল রিপোর্ট বলছে, শেষ পাঁচ বছরে সদ্য স্নাতকদের মধ্যে গড়ে ৪৬ শতাংশের কর্মসংস্থান হয়েছে। যা ২০১৪ সালে ছিল ৩৩.৯ শতাংশ।
কোন কোন ক্ষেত্রে স্নাতকদের চাকরি বেড়েছে?
সমীক্ষা বলছে, দু’বছর আগেও এমবিএ পড়ুয়াদের মধ্যে ৪০ শতাংশ চাকরি পেতেন। তা এখন বেড়ে হয়েছে ৫৪ শতাংশ। হুইবক্সের প্রতিষ্ঠাতা তথা চিফ এক্সিকিউটিভ নির্মল সিংহের কথায়, গত কয়েক বছরে এমবিএ পাশ পড়ুয়াদের তাৎপর্যপূর্ণভাবে কর্মসংস্থান (Employment) হয়েছে। এঁদের পরে রয়েছে বি ফার্মা, পলিটেকনিক, বাণিজ্য বিভাগ ও কলা বিভাগের স্নাতকরা। এঁদের কর্মসংস্থান গত কয়েক বছরে বেড়েছে গড়ে ১৫ শতাংশ।
কোন বিভাগের পড়ুয়াদের কর্মসংস্থান কমেছে?
বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মসংস্থানের হার বেশ কমে গিয়েছে। চাকরির বাজারে ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদাও লক্ষণীয়ভাবে কমেছে। তাছাড়া এমসিএ, প্রযুক্তি ও কম্পিউটার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের পড়ুয়ারা চাকরির বাজারে বেশ পিছিয়ে বলে সমীক্ষায় প্রকাশ।
বিখ্যাত ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা হুইবক্স চলতি বছরের জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে দেশজুড়ে চাকরির সুযোগ সংক্রান্ত এক সমীক্ষা চালায়। দেশের ৩,৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন লক্ষের বেশি পড়ুয়াদের উপর এই সমীক্ষা হয়েছে। সেখানেই উঠে এসেছে সব তথ্য।
সদ্য স্নাতকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাকরি হচ্ছে মহারাষ্ট্র রাজ্যে। তারপর রয়েছে তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্র এবং কর্ণাটক। শহরগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হচ্ছে মুম্বইয়ে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হায়দরাবাদ। এরপর রয়েছে বেঙ্গালুরু, নিউ দিল্লি, পুণে, লখনউ এবং চেন্নাই। গত ছয় বছর ধরে কর্মসংস্থানের দিক থেকে প্রথম দশের মধ্যে জায়গা দখল করে আছে এই শহরগুলি। সমীক্ষা বলছে, পশ্চিমবঙ্গ ও হরিয়ানা, এই দুই রাজ্যে তুলনামূলকভাবে কর্মসংস্থানের হার কম। এই দুই রাজ্যের শহরগুলির একটিও প্রথম দশে জায়গা করতে পারেনি।
পাশাপাশি পুরুষ ও মহিলা ভিত্তিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, হায়দরাবাদ, গাজিয়াবাদ এবং বিশাখাপত্তনম, এই তিন শহর মহিলাদের কর্মসংস্থানে শীর্ষে রয়েছে।
Comments are closed.