আধার-ভোটার কার্ড যুক্ত করতে আইন বদলাচ্ছে মোদী সরকার! বিশেষ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে? কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ফের বিতর্ক
আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণ নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর রাতারাতি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণের কাজ। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আটকে যাওয়া সেই কাজই কি ফের নতুন করে শুরু হচ্ছে?
দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে আটকে যাওয়ার পর এবার আধার আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে কমিশনের হাতে বিশেষ আইনি ক্ষমতা দেওয়ার সংস্থান তৈরির সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে আইন মন্ত্রক। ক্যাবিনেট বৈঠকে ছাড়পত্র পাওয়াও স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, বলছে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ বৈঠক করে আইন মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে। সেখানেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল অরোরা নির্বাচনী সংস্কারের ব্যাপারে মন্ত্রককে আরও উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানান। মন্ত্রকের তরফে ফুল বেঞ্চকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে, আধার আইনে সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে বিশেষ আইনি ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি কেন্দ্র গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং আসন্ন কেবিনেট বৈঠকেই সেই সংশোধনীতে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর পড়তে চলেছে।
সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, আধার-এপিক সংযোজনের মাধ্যমে মূল পরিকল্পনা হল নিরাপদে অভিবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করা। এই উদ্যোগের ফলে কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকা শ্রমিক, কর্মীরা নিজেদের ভোটাধিকার সংশ্লিষ্ট জায়গা থেকেই প্রয়োগ করতে পারবেন।
২০১৫ সালে একই কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। কাজ প্রায় অর্ধেক শেষ হওয়ার পর আধার নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ের পর আধার-এপিক সংযুক্তিকরণের কাজ মাঝপথেই বন্ধ করে দেয় কমিশন। তারপর থেকেই কমিশনের তরফে সরকারের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল আইন সংশোধনের। শেষপর্যন্ত তা দিনের আলো দেখতে চলেছে বলে মঙ্গলবারের বৈঠকের নির্যাস।
তবে আধার-এপিক সংযুক্তিকরণের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে যে বিরোধিতা ছিল, আজও তা অব্যাহত। দেশজুড়ে সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে যা আরও প্রাসঙ্গিক। এই প্রেক্ষিতে আধার আইনে সংশোধনী এনে কমিশনের হাতে বিশেষ আইনি ক্ষমতা প্রদানের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে সংযুক্তিকরণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কি সম্ভব হবে? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
Comments are closed.