পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন সরকারি পদে প্রায় দু’হাজার কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্তে সায় দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে কর্মচারী নিয়োগের প্রস্তাব আনা হয়। এর মধ্যে আপাতত দু’হাজার শূন্য পদে নিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
কোন কোন পদে কত নিয়োগ?
পুলিশ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সহ আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগ হবে। দীর্ঘদিন ধরে ওই পদগুলি শূন্য থাকার ফলে বিভাগ চালাতে অসুবিধে হচ্ছিল। ওই পদ পূরণেই শীঘ্র নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, যে দু’হাজার শূন্য পদ পূরণের প্রস্তাব এসেছে, তার প্রায় অর্ধেকই পুলিশে। তাছাড়া এক হাজারের কাছাকাছি পদে টেলিফোন অপারেটর, ওয়্যারলেস অপারেটর ইত্যাদি নিয়োগ করা হবে। স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিভাগে কয়েকশো কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসএসকেএম হাসপাতালে এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগটিকে ইন্সটিটিউট অফ এন্ডোক্রিনোলজিতে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে। ফলে এই নতুন শাখায় লোক নেওয়ার প্রয়োজন হয়েছে। তা ছাড়া এসএসকেএমের স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগেও কর্মী নিয়োগে সায় দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।
নতুন কোনও পদে কি নিয়োগ হবে?
সোমবার অর্থ দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, আপাতত নতুন কোনও পদে নিয়োগের সম্ভাবনা নেই। পুরনো পদ পূরণের ক্ষেত্রেও সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, বর্তমান বর্ধিত বেতনে বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়োগের কথা আপাতত ভাবছে না রাজ্য। কারণ, যা বেতন বেড়েছে, তাতে নতুন করে আর্থিক বোঝা টানার ক্ষমতা নেই রাজ্য সরকারের। পুলিশের শূন্য পদগুলিতে নিয়োগ অপরিহার্য ছিল বলেই মন্ত্রিসভা থেকে সায় দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও বেশ কিছু জরুরি পদে নিয়োগ করতেই হত। তিনি জানান, তবে নতুন তৈরি হওয়া পদে লোক নেওয়ার কথা এখনই ভাবছে না সরকার।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি থেকেই সরকারি কর্মচারীদের বর্ধিত বেতন দিতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এর ফলে স্থায়ী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে জরুরি না হলে অনুমতি দিচ্ছে না অর্থ দফতর। শিক্ষা, পরিবহণের মতো দফতরে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত কর্মীদের নবীকরণের ক্ষেত্রেও ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করছে রাজ্যের অর্থ দফতর।
এদিকে পুরসভা সচল রাখতে আগের মন্ত্রিসভা একশোর বেশি কর্মী নিয়োগে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরিবহণের ক্ষেত্রেও কয়েকটি পদে লোক নেওয়ার সিদ্ধান্তে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তবে আসন্ন পুরসভা ভোটের সঙ্গে এই পদপূরণের কোনও যোগ নেই বলে দাবি অর্থ দফতরের।
Comments are closed.