মমতা: অযথা আতঙ্কিত হবেন না, রাজ্যে কেউ করোনা আক্রান্ত নেই, মাস্ক নিয়ে কালোবাজারি রুখতে পুলিশকে নির্দেশ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। সব জ্বর করোনাভাইরাস নয়, সর্দি হলেই তা করোনাভাইরাস ভাবার কোনও কারণ নেই। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি বেড়ে গেলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান। তাঁর পরামর্শ মতো চলুন। বাংলার কারও শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। নবান্নে করোনাভাইরাস রুখতে বৈঠকের পর বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
করোনাভাইরাস নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় বিশ্ব। চিন থেকে তা ক্রমশ মহামারীর আকার নিচ্ছে সারা পৃথিবীতে। মৃত্যু হচ্ছে অসংখ্য মানুষের। আক্রান্ত হচ্ছেন ভারতীয়রাও। এই প্রেক্ষিতে এবার করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা, মুখ্যসচিব, নগরপাল সহ উচ্চপদস্থ কর্তারা। সেই বৈঠক শেষেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে পরিকাঠামো তৈরি রাখা হয়েছে। তৎপর রয়েছে হাসপাতালের ক্যুইক রেসপন্স টিম। জেলাগুলোতে পাঠানো হয়েছে অ্যাডভাইজারি। চালু হয়েছে ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন নম্বর। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় তৈরি রাজ্য প্রশাসন। এদিন শুধুমাত্র পরিকাঠামোই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে ছিল সাধারণ নিয়মের কথাও। মমতা এদিন বলেন, প্যানিক করার কোনও কারণ নেই। ডাক্তারদের পরামর্শ মতো বারবার হাত ধোওয়া কিংবা হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢাকার কথাও ফের একবার মনে করিয়ে দেন মমতা। নিজে হাতে কলমে দেখিয়ে দেন কীভাবে হাত ধুতে হবে। তাঁর মতে, বিদেশি উড়ানের পাশাপাশি অন্তর্দেশীয় বা ডোমেস্টিক উড়ানের ক্ষেত্রেও চেকিং প্রয়োজন। পাশাপাশি রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাতেও পরীক্ষার ব্যবস্থা করার কথা বলেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে, গ্লাভস ও মাস্কের লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধির বিষয়টিও। মমতা বলেন, অযথা গ্লাভস ও মাস্কের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও পুলিশকে বলেছি নজর রাখতে। এতে আতঙ্ক আরও বাড়ছে। মানুষের বিপদের সময় ওষুধের দাম বাড়ানো উচিত না। প্রয়োজনীয় মাস্কের জন্য কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনেকেই এই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত লাভের আশায় মাস্ক ও গ্লাভস মজুত করে রাখছেন বলে অভিযোগ। মমতা বলেন, এমন কোনও ঘটনা ঘটলে সরকার থেকে মজুত করা সমস্ত পণ্য তুলে নেওয়া হবে।
Comments are closed.