আমার ছেলেবেলার দার্জিলিং # পর্ব ১

আমার শৈশব, কৈশোরের দিনগুলি ফেলে এসেছি অনেক দিন আগে। সেটা ছিল অন্য একটা যুগ। এই যুগের সঙ্গে তার মিল কমই।
আমরা বড় হয়েছি দার্জিলিং শহরে। সেই সময় শহরটি ছিল ছবির মতন সুন্দর। মাথায় কাঞ্চনজঙ্ঘার মুকুট পরে এই শৈল শহরটি ঠিক রানির মতনই সেজে থাকত। সেই সময় শহরটি ছিল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পাহাড়ের ওপরে ছোট ছোট বাংলো ধরনের বাড়ি। সেই সময় বাড়ি-ঘরের সংখ্যা ছিল কম, লোকসংখ্যাও কম ছিল। মিউনিসিপালিটির অনুমতি ছাড়া বাড়ি তৈরি করা যেত না। বেশি গাড়ি চলত না শহরের মধ্যে। গাড়ির সংখ্যাও কম ছিল। সবাই হেঁটেই চলাফেরা করত। পাইন, দেবদারু আর নানারকমের পাহাড়ি ফুলের গাছ ছিল শহরের মধ্যে। গোলাপ,  ম্যাগনোলিয়া, ক্যামেলিয়া, রডোডেন্ড্রন ফুলগুলি আমাদের আদরের এই শহরটিকে সাজিয়ে রাখত। ওখানে কতগুলি নির্দিষ্ট জায়গা ছিল যেখানে বাঙালিরা বসবাস করত।
এই বাঙালিরা বেশিরভাগই ইংরেজ আমলে সরকারি চাকরি নিয়ে এখানে এসেছিলেন। ক্রমে-ক্রমে এখানে তাঁরা বংশ পরম্পরায় বসবাস করতে লাগলেন। পাহাড় কেটে কিছু জমি বানিয়ে, সেই জমি বাঙালিদের দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা সেখানে বাড়ি তৈরি করে নিয়েছিলেন। আমরা এই রকমই একটি বাঙালি পাড়ায় থাকতাম। এই সব পাড়ার লোকরা নিজেরা খুব মেলা মেশা করতেন। ফলে এঁরা সব যৌথ পরিবারের মতন থাকতেন। আমরা ছোটবেলা থেকেই এঁদের সবাইকে নিজেদের পরিবারের সদস্য মনে করতাম। দাদু, ঠাকুমা, পিসি, কাকা, জ্যাঠা সবাই ছিল এই পাড়ারই সদস্য। এঁদের কাছ থেকে যা ভালবাসা পেয়েছি, তা ভোলার নয়। সুখে-দুঃখে সবাই সবার সঙ্গে থাকতেন।
এই লেখাটা যখন শুরু করেছিলাম সেদিন ছিল ২৩ শে জানুয়ারি। সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন। সেদিন একটা অদ্ভুত অনুভুতি হলো। টিভিতে নেতাজির জন্ম দিনের জন্য দেশাত্মবোধক গান এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের নানারকম ছবি দেখছিলাম, আর আমাদের ছোটবেলার কথা মনে পড়ছিল। আমাদের ছোটবেলা কেটেছে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে পরেই। সেই জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তাপ তখনও মানুষের মধ্যে ছিল, যা আমাদের প্রভাবিত করতো। স্কুলে বা বাড়িতে অভিভাবক আর টিচারদের কথায় সেই সব উত্তাপ ছিল। এই এতদিন পরে ২০১৮ সালের ২৩ শে জানুয়ারি সেই অনুভবে চোখে জল এসে গেল। আমার মনে আছে, দার্জিলিংয়ে বাজারের মধ্যে একটা খোলা চাতাল ছিল, এখন আর নেই।  সেখানে নানারকম দোকান হয়ে গিয়েছে। আগে ওখানে রবিবারের হাট বসতো, বস্তি বা গ্রাম থেকে সব্জি, ফল নিয়ে আসত গ্রামবাসীরা বিক্রির জন্য। স্বাধীনতা দিবসে ওই চাতালে খুব জাঁকজমক করে পতাকা উত্তোলন হতো। আর ম্যালে বিকেল বেলায় পুলিশের ব্যান্ড বাজত। বিকেলে ব্যান্ড বাজানো দেখতে যেতাম ।
দার্জিলিংয়ে ম্যাল শহরের ওপরে একটা উঁচু জায়গায় অবস্থিত। অবজারভেটরি হিলের সামনে একটা প্রশস্ত সমতল জায়গায় তৈরি হয়েছিল ইংরেজ আমলে। লাডেন লা রোড থেকে শুরু হয়ে ম্যালকে ঘিরে অনেক অভিজাত দোকান আছে। এইসব দোকানে খুব সুন্দর সুন্দর জিনিস পাওয়া যায়। নানারকমের মালা, পাথরের এবং অন্যান্য শৌখিন জিনিস পাওয়া যায়। আমরা যখন ছোট ছিলাম, আমাদের বাড়িতে অতিথিরা আসতেন দার্জিলিংয়ে বেড়াতে, তাঁদের নিয়ে যেতাম ওই সব দোকানে। তাঁরা মালা এবং অনেক সুন্দর সুন্দর পাথর কিনতেন। আমরা যাঁরা দার্জিলিংয়ে থাকতাম, কোনও দিনও ওগুলো কিনতাম না। আমাদের একটা বদ্ধমূল ধারণা ছিল, ওগুলো খালি পর্যটকদের কেনার জিনিস ।
ম্যালের অবজারভেটরি হিলে আছে মহাকালের মন্দির। ম্যালের পাশের রাস্তা দিয়ে পাহাড়ি রাস্তা ধরে আমরা যেতাম মন্দিরে। মন্দিরের পেছন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যেত। খুব সুন্দর দৃশ্য। ওই মন্দিরে হিন্দুরা এবং তিব্বতিরা পুজো করত। এখনও সেইরকম আছে। আগের থেকে এখন লোকের ভিড় বেশি। মন্দিরে যাওয়ার রাস্তায় অনেক ভিখিরি বসে থাকত। মন্দিরে পুজো দিয়ে ফেরার সময় তাদের পয়সা দিতাম। বহু বছর ধরে একই ভিখিরিকে বসে থাকতে দেখেছি। মন্দির থেকে নীচে একটা গুহা ছিল। সেখানে আমরা যেতাম গুহা দেখতে। ওই গুহার ভেতরে কেউ ঢুকত না। ওই গুহার কোথায় শেষ, কেউ জানত না। একবার গিয়ে দেখলাম গুহাটার সামনে দিকটায় একটা মন্দির হয়েছে।
ম্যালের পাশ দিয়ে একটা রাস্তা গিয়েছে, ওখানে ছিল ঘোড়ার আস্তাবল। এই ঘোড়াগুলোতে করে বাচ্চারা, ট্যুরিস্টরা ম্যালের চারদিকে ঘুরত। এই রাস্তাটাই গিয়েছে জলাপাহাড়ে। কয়েক বছর আগে ওই রাস্তায় গিয়ে অবাক হলাম। ওখানে কত রকমের দোকান হয়েছে, ফল, সব্জি সবই পাওয়া যায়, কত নতুন নতুন বাড়ি হয়েছে। ছোট-খাটো হোটেলও দেখলাম। অল্প খরচে থাকার জন্য এই হোটেলগুলিতে ভিড় লেগে থাকে। এছাড়া অনেক খাবার দোকানও হয়েছে দেখলাম। আগে এই রাস্তাটা নির্জন থাকত। এখন লোকের ভিড়ে গম-গম করছে ।
ম্যালের থেকে একটা রাস্তা নীচে নেমে গিয়েছে। ওখানে ‘স্টেপ অ্যাসাইড’ নামে একটা বাড়িটা আছে। ওখানে এক সময় চিত্তরঞ্জন দাশকে রাখা হয়েছিল। এই রাস্তাটা আরও নীচে নেমে গিয়েছে। ওখানে দূরে দূরে অনেক সুন্দর বাড়ি আছে। আমরা যখন ছোট ছিলাম, আমার বন্ধু কাঞ্চুরা ওখানে একটা বাড়িতে কিছুদিন ছিল। ওদের বাড়িটার নাম ছিল ‘মিড উড’। বাড়িটায় যেতে হলে জঙ্গলের মতন জায়গার মধ্যে দিয়ে যেতে হতো। আমরা ওদের বাড়িতে মাঝে মাঝে বেড়াতে যেতাম ।
ওদের বাড়ির সংলগ্ন একটা ভুট্টার ক্ষেত ছিল। আমরা গেলে ওখান থেকে ভুট্টা তুলে এনে পুড়িয়ে খাওয়া হতো। এছাড়া মাসিমা ( কাঞ্চুর মা ) নিজের হাতে সিঙাড়া বানিয়ে খাওয়াতেন। তখন শুনেছিলাম ওই জঙ্গলের মধ্যে ওদের কেউ একজন পাইথন সাপ দেখেছিল।
কাঞ্চুর বাবা ভিক্টোরিয়া ফলসের পাশে একটা ছোট টিলার ওপরে বাড়ি কিনেছিলেন। ওরা পরে ওখানেই থাকত। ভিক্টোরিয়া ফলসের কাছে একটু নীচে ছিল ঘোষ নার্সারি। বীরেন ঘোষ নামে একজন বৃদ্ধ ভদ্রলোক নার্সারিটা চালাতেন। ওখানে নানারকমের দুর্লভ অর্কিড ছিল। প্রচুর বিদেশি আসতেন ওই অর্কিড কেনার জন্য। তাছাড়া ওনার অর্কিডের ওপর বই ছিল। শুনেছি ওই বই আমেরিকার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হতো। দার্জিলিংয়ে বড় পোস্ট অফিসের কাছে ওনাদের একটা দোকান ছিল। ওই বৃদ্ধ ভদ্রলোক রোজ বিকালে দোকানে গিয়ে বসতেন। ভিক্টোরিয়া ফলস থেকে ওঁদের দোকান খুব দূরে ছিল। তবু উনি রোজ যেতেন। কোনও কোনও সময় যাওয়ার পথে আমাদের বাড়িতে আসতেন। তখন অনেক গল্প করতেন। সেইরকম একটা গল্প করতে করতে বলেছিলেন, উনি এমন সাধু দেখেছেন যাঁর অনেক বয়স। ওনার গায়ের চামড়া পড়ে গিয়ে নতুন চামড়া হয়েছে। ওই বৃদ্ধ বীরেন ঘোষের সব চুল ছিল সাদা। আমার বোন কাজু ঠাট্টা করে বলত, ‘দাদু তোমার কাঁচা চুল বেছে দেব’? উনি হা হা করে হাসতেন।
আমার খুব অবাক লাগে ভাবতে যে আমার যত বয়স বেড়ে যাচ্ছে, আমার শৈশব, কৈশোরের দিনগুলি কাছে এগিয়ে আসছে। আগে কখনও ছোটবেলার কথা মনে হতো না। এখন খুব মনে হয়। আর তখনকার স্মৃতিও অনেক পরিষ্কার। এখন ফেলে আসা পুরো জীবনটা সামনে দেখতে পাই। একটা নকশি কাঁথার মতন। সেখানে কত রং-বেরঙের সূচি শিল্পের মতন মনে হয়।
আবার ছোটবেলার কথা মনে হচ্ছে। পাহাড়ি শহর সন্ধ্যার পর নিস্তব্ধ হয়ে যায়। রাত্রি ১০- ১১ টার মধ্যে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। রাস্তার আলোগুলি খালি জ্বলতে থাকে। কোনও কোনও দিন গভীর নিঝুম রাতে শঙ্খ বাজানোর মতন আওয়াজ আসতে থাকে। ওই সময় ঘুম ভেঙে যেত, লেপের মধ্যেই মুখ গুঁজে থাকতাম।
আমাদের ছোট বেলায় দুর্গা পুজো বা পয়লা বৈশাখের আগে একজন ভদ্রলোক ট্রাঙ্ক ভর্তি তাঁতের শাড়ি নিয়ে আসতেন আমাদের পাড়ায় বিক্রির জন্য। কুলির মাথায় ট্রাঙ্ক নিয়ে যখন আসতেন, পাড়ায় মা-মাসিমা’দের মধ্যে সাড়া পড়ে যেত। কারও একজনের বারান্দায় বা বসবার ঘরে উনি ট্রাঙ্ক নিয়ে বসলে সবাই জড়ো হয়ে শাড়ি দেখতে বসতেন। আমরা মেয়েরা যখন একটু বড় হয়েছি, শাড়ি দেখতে আমরাও বসে যেতাম। উঃ, কী মজাই না হতো। নতুন শাড়ির গন্ধ, নানা রকমের ডিজাইন দেখতে কী ভাল লাগত। পুজোর বাজার মায়েরা তখনই সেরে ফেলতেন। হয়তো একটা শাড়ির রং ও ডিজাইন দেখে দুজনের পছন্দ হয়ে গেল, তখন খুব মুশকিল হতো। কে নেবে? তখন বাক্সওয়ালা বাবু বলতেন, পরের বার ওই রকম আর একটা নিয়ে আসব। অথবা ওনার পুঁজিতে থাকলে পরের দিন নিয়ে আসতেন। যাই হোক, বাক্সওয়ালা আসা মানে পুজো এসে গিয়েছে। পুজোর সময় কোনও কোনও বছর আমার জন্য সিল্কের শাড়ি কেনা হতো। তখন মায়ের সঙ্গে যেতাম ম্যালের লেখরাজের দোকানে। সেখানে খুব সুন্দর সুন্দর শাড়ি পাওয়া যেত। দুর্গা পুজোর কথাই যখন উঠল, তখন দার্জিলিংয়ের দুর্গা পুজো নিয়ে একটু লিখি।
দার্জিলিংয়ে চাঁদমারি এলাকায় নৃপেন্দ্র নারায়ণ হিন্দু পাবলিক হল বাঙালিদের ক্লাবের মতো। এখানে সব বয়সী মানুষই আসতেন। সন্ধ্যেবেলা বসে গল্প করতেন আমাদের বাবাদের বয়সী লোকেরা। অল্প বয়সের ছেলেরা খেলত ব্যাডমিন্টন। ওখানে একটা স্টেজ ছিল। মাঝে মাঝে ওখানে থিয়েটার বা সঙ্গীত অনুষ্ঠান হতো। হলের সঙ্গেই ছিল শ্রী মন্দির। ওখানে কিছু দেব-দেবীর মূর্তি ছিল। রোজ পুজো হতো। দুর্গা পুজো নিয়ে খুব হই-চই হতো। চাঁদা তোলা হতো সব বাঙালিদের কাছ থেকে। পুজোর সময় ভোগ রান্না হতো। যারা যেত তারা প্রসাদ পেত। ভোগে খিচুড়ি, লাবড়া ইত্যাদি হতো। নির্দিষ্ট বাড়ির গিন্নিরা বঁটি নিয়ে বসে সব্জি কাটতেন। বড়-বড় কুমড়ো আসত। এই কুমড়ো ফালি দেবার জন্য একজন ভদ্রলোকই ছিলেন। প্রতি বছর উনিই কুমড়ো কাটতেন ।
পুজোর সময় রোজ আমরা নতুন কাপড় জামা পরে অঞ্জলি দিতাম। সন্ধ্যের আরতির সময় খুব ভিড় হতো। দার্জিলিং শহরের যত গণ্যমান্য অভিজাত মানুষ ছিলেন, তাঁরা এবং তাঁদের বাড়ির মেয়েরা খুব সেজেগুজে সুন্দর-সুন্দর শাড়ি, গয়না পরে আসতেন। আমরা অবাক হয়ে তাঁদের দেখতাম। আমার বাবা এবং বন্ধু-বান্ধব বা যাঁরা ক্লাবের মেম্বার, প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি তাঁরা বাইরে টেবিল চেয়ার পেতে বসে থাকতেন, গল্প করতেন। কাজও করতেন।
বিজয়া দশমী ছিল দেখার মতন। দুর্গা প্রতিমাকে অল্প বয়সের ছেলেরা কাঁধে তুলে প্রোসেশন করে বের হতো। দার্জিলিং শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাতো। আমাদের বাড়ির সামনে দিয়েও যেত। আমার বাবা রেডি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন বারান্দায়। প্রোসেশন এলে তার সঙ্গে চলে যেতেন। এই বিজয়া দশমীর প্রোসেশনের জন্য একটা গানও বাঁধা হয়েছিল। কে লিখেছিলেন আমি তা জানি না। গানটা ছিল এই রকম, আমার সবটা মনে নেই ।
এস মা এস মা এস
সঙ্গে সরস্বতী কার্তিক, গণপতি
লক্ষ্মী সতীরে লয়ে এস ।
এস মা অভয়া , হও মা সদয়া

আরও অনেকখানি ছিল। এখন আর আমার মনে নেই।

এই প্রোসেশন নির্দিষ্ট কয়েকটা জায়গায় থামত। সেখানে যাদের বাড়ি থাকত, সেখানে তাঁরা ওদের চা, সিঙাড়া ইত্যাদি খাওয়াতেন। শেষ হতো বর্ধমান রাজার বাড়িতে। সেখানে ঠাকুর বরণ করে প্রতি বছর ওঁরা একটা গিনি দিতেন। এর পরে কাকঝোরায় গিয়ে একটা বড় চৌবাচ্চার জলে ঠাকুর বিসর্জন হতো। বিসর্জনের পরে সবাই ফিরে যেত নৃপেন্দ্র নারায়ণ হিন্দু পাবলিক হলে। সেখানে শান্তির জল নিয়ে বিজয়ার কোলাকুলি শুরু হতো। মা-মাসিমারা বা বড় মেয়েরা প্রোসেশনে যেত না । কারণ, বাড়িতে তখন বিজয়ার জন্য খাবার তৈরি হতো। কোলাকুলি করেই সবাই বাড়ি বাড়ি বিজয়া করতে যেত।
আমার মনে আছে, আমাদের বাড়িতে হতো লুচি, আলুর দম। আর আমার মায়ের স্পেশাল সাগর দই আর ছানার পায়েস। আমি এখনও তার স্বাদ-গন্ধ ভুলিনি। সাগর দই ছিল ভাপা দই,  যা ক্ষীর দিয়ে কিশমিশ পেস্তা দিয়ে বানানো হতো। আর রাত্রি বেলায় মা পাড়ার মাসিমাদের খাওয়াতেন ইলিশ মাছের ঝোল আর ভাত। এই সব সুখ-স্মৃতি আমাকে সেই সুন্দর দিনগুলিতে নিয়ে যায় ।

(চলবে)

Leave A Reply

Your email address will not be published.