রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা জানানোর জন্য ৩ এপ্রিল তৈরি হয় কোভিড ডেথ অডিট কমিটি। সম্প্রতি সেই কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছিল। শুক্রবার তার জবাব দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীবা সিনহা। জানালেন, মোট ৫৭ টি মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখে তার মধ্যে ১৮ জনের সরাসরি করোনায় মৃত্যুর কথা জানিয়েছে অডিট কমিটি।
কিন্তু কীভাবে এই ১৮ জনকে বেছে নিল অডিট কমিটি? মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ৫৭ জনের মধ্যে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে অন্যান্য অসুস্থতা জনিত (কোমর্বিডিটি) কারণে এবং তাঁদের প্রত্যেকেরই কোভিড ১৯ পজিটিভ (ইনসিডেন্টাল ফাইন্ডিংস) ছিল। তাই এই মৃত্যুগুলোকে সরাসরি করোনায় আক্রান্ত বলে জানায়নি অডিট কমিটি।
এদিন মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৫১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৮২% কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনার। এর ফলে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৮৫। অডিট কমিটি জানিয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ১৮ জনের।
রাজীবা সিনহা জানান, ৫১ জনের মধ্যে ৫১% আক্রান্ত কলকাতা বাসিন্দা। হাওড়া থেকে ১৮% এবং উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ১৩% আক্রান্ত রয়েছেন। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া ও হুগলি থেকেও আক্রান্তের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
রাজ্যে টেস্ট কম হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের তরফেও অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যসচিব জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৯৪৩ টি টেস্ট হয়েছে। মোট টেস্টের সংখ্যা ৮,৯৩৩। ১০৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
এদিন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের পরপর চিঠি পাঠানো নিয়েও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যে মুখ্যসচিব। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় দল যদি কোনও প্রশাসনিক ব্যাপারে তথ্য চায়, তাহলে তা সরাসরি দেবে নবান্ন কিন্তু স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেবে স্বাস্থ্য দফতর। তাই কেন্দ্রীয় দলের পাঠানো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চিঠি স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারাই এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় দলকে উত্তর দেবে। মুখ্যসচিব বলেন, কেন্দ্রীয় দলকে সমস্তরকম সহায়তা করা হচ্ছে এবং বলা হয়েছে আপনারা যেখানে খুশি ঘুরুন এবং রাজ্য সরকারকে গঠনমূলক পরামর্শ দিন।
Comments are closed.