২১ তারিখ খুলবে দোকান, ২৭ শে হকার, অটোতে ২ যাত্রী, কনটেইনমেন্ট জোনকে ৩ ভাগ করে একগুচ্ছ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্যে লকডাউন চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। এই দফায় বুথ ও ওয়ার্ড ধরে ধরে কনটেইনমেন্ট জোনকে ৩ ভাগে ভাগ করছে রাজ্য সরকার। প্রথমভাগে থাকবে সংক্রমিত এলাকা বা কনটেইনমেন্ট জোন A। বাফার জোন বা কনটেইনমেন্ট জোন B এবং ক্লিন জোন বা কনটেইনমেন্ট জোন C। প্রথম জোনে কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা মিলবে। বাকি দুটি জোনে কিছু কিছু করে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২১ তারিখ থেকে কনটেইনমেন্ট A বাদ দিয়ে সর্বত্র দোকানপাট খুলবে। তবে মেনে চলতে হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং। বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক ও গ্লাভস। ২৭ মে থেকে শহরের হকার মার্কেটগুলো খুলে যাবে। সেদিন থেকেই চলবে অটো। হকার মার্কেটগুলোর ক্ষেত্রে সিপির নেতৃত্বে কমিটি জোড়-বিজোড় নীতি মেনে দোকান খোলার নির্দেশাবলী দেবে। তা মেনে চলতে হবে। অটোতে ২ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। অটোর ক্ষেত্রে পুলিশকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কনটেইনমেন্ট জোন বাদে চলবে বাস, ট্যাক্সি।
এছাড়া রেস্তরাঁ বন্ধই থাকছে। তবে খুলছে সেলুন, পার্লার। সেক্ষেত্রে সেলুন কর্মীদের জন্য পৃথক গাইডলাইন দেওয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনই শপিং মল খুলছে না তবে মলের মধ্যে কোনও প্রাইভেট অফিস থাকলে তা চলবে অর্ধেক কর্মী দিয়ে। খেলাধুলো করা যাবে তবে দর্শক সমাগম করা যাবে না। বন্ধই থাকছে সিনেমাহল, প্রেক্ষাগৃহ।
কেন্দ্রের গাইডলাইনে রয়েছে প্রতিদিন সন্ধে ৭ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ থাকবে। মমতা বলেন, কারফিউ শব্দটা আমার ব্যবহার করি অনেক ভেবেচিন্তে। এর ফলে মানুষকে চাপে ফেলা হয়। মমতার কথায়, কারফিউ আইন বলবৎ করতে হয়, তেমন পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্য সরকারকে যেতে বাধ্য করবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, সন্ধে ৭ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্য আরও ১২০ টি ট্রেন চাইবে রেলের কাছে। আগে শতাধিক এবং পরবর্তীতে ১২০ টি ট্রেন, সমস্ত খরচই রাজ্য সরকার বহন করবে বলেও এদিন জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, আমাদের রাজ্যে ভিন রাজ্যে অনেক শ্রমিক আছেন। আমরা তাঁদের যথাসাধ্য খেয়াল রাখছি। ট্রেনে ওঠার টিকিট পর্যন্ত কেটে দিয়েছি। কিন্তু বাংলার মানুষ বিভিন্ন রাজ্যে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। সমস্ত রাজ্যকে অনুরোধ করব দয়া করে বাংলার মানুষগুলোর যত্ন নিন।
শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলো থেকে নার্সদের দলবেঁধে চলে যাওয়ার ঘটনার প্রক্ষিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থানীয়দের জ্বর মাপা কিংবা ওই ধরনের ছোটখাটো কাজ করতে নেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলেন আমলাদের। তিনি বলেন, হেলপার হিসেবে পুরুষ ও মহিলা নেওয়া যেতে পারে।
Comments are closed.