এবার করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেন রাজ্যের মন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে করোনার উপসর্গ না থাকায় বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন সস্ত্রীক সুজিত বসু।
সূত্রের খবর, কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত মন্ত্রীর বাড়ির পরিচারিকাও ৷ মনে করা হচ্ছে, সেখান থেকেই সংক্রমিত হয়েছেন সুজিত বসু। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে মন্ত্রীর বাড়ির পরিচারিকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপরই সুজিত বসু ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের রক্ত ও লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নিয়ম মেনে দমকলমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। বৃহস্পতিবার পরীক্ষার রিপোর্ট এলে দেখা যায় মন্ত্রীর কোভিড পজিটিভ।
এদিকে সুজিত বসুর করোনা আক্রান্তের হওয়ার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, গত কয়েক দিনে সুজিত বসুর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের কারও শরীরে উপসর্গ দেখা দিলে তাঁরও কোভিড টেস্ট করা হবে। কিন্তু আমপান ঘূর্ণিঝড়ের পর বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিলি করেছেন মন্ত্রী। সেখানে বহু মানুষের সংস্পর্শে আসেন তিনি। গত বুধবারই হাওড়ায় দমকলকর্মীর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় হাওড়ায় যান তিনি। সেখানে দফতরের আধিকারিকরা তো বটেই, বহু সাংবাদিকও তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন। তাছাড়া দুশ্চিন্তায় নবান্নও। তবে স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা জানাচ্ছেন, নিয়ম মেনে মন্ত্রীর সংস্পর্শে যাঁরা ছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে কোয়রেন্টিনে পাঠানো হবে। তবে মন্ত্রীর যেহেতু উপসর্গ নেই, তাই বাড়়িতে রেখেও চিকিৎসা করা সম্ভব বলে জানান ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক।
সুজিত বসু রাজ্যের প্রথম মন্ত্রী যাঁর শরীরে কোভিড ধরা পড়ল। তবে চলতি সপ্তাহের শুরুতে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ তথা ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষও করোনায় আক্রান্ত হন। পরিবার সহ তাঁরও চিকিৎসা চলছে। মন্ত্রী সুজিত বসুর পরবর্তী করোনা পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
Comments are closed.