মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটারের সঙ্গে তীব্র বিবাদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট তাঁর ট্যুইটের প্রেক্ষিতে ফ্যাক্ট চেকিংয়ের জোর দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্প ছাড়াও বিখ্যাত ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে ভুল ট্যুইট করার প্রবণতা নতুন নয়। বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের এমনই কিছু ভুল বার্তা নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া।
সিনেমা থেকে নানা সামাজিক বিষয় নিয়ে ট্যুইটারে রীতিমতো অ্যাক্টিভ বিগ বি। কিন্তু অভিযোগ, নানা বিষয়ে সত্যাসত্য বিচার না করেই ট্যুইট করেন তিনি। এ নিয়ে অমিতাভ বচ্চনের বিরুদ্ধে সোচ্চারও হয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। দিন কয়েক আগে প্রায় ১,৩০০ নেটিজেন একটি অনলাইন পিটিশনে অমিতাভের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বাতিল করার দাবি জানান মার্ক জুকেরবার্গের কাছে। তাতে তাঁদের অভিযোগ, বিশিষ্ট অভিনেতা বিভিন্ন সময়ে ভুয়ো খবর পোস্ট করেন। তাতে তাঁর নিজেরই সম্মানহানি হতে পারে।
গত এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে করোনা আবহে নয় মিনিটের প্রদীপ জ্বালানো কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন। তাতে বহু সেলেব্রিটির সঙ্গে সাড়া দেন অমিতাভ বচ্চনও। রবিবারের সেই রাত নটায় নয় মিনিটের জন্য প্রদীপ জ্বালানোর কর্মসূচিতে ট্যুইটারে একটি ছবি শেয়ার করে এক নেটিজেন লেখেন, ‘যখন গোটা বিশ্ব অন্ধকারে নিমজ্জিত তখন ভারত আলোকজ্জ্বল। এটিই রিট্যুইট করে বিগ বি লেখেন, ‘গোটা বিশ্ব দেখছে… আমরা এক। এই ছবিটি ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়। করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকেই যেখানে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন অমিতাভ, সেখানে তাঁর এই ধরণের ছবি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকা উচিত বলে মনে করেন নেটিজেনরা।
এর মধ্যে করোনা মোকাবিলায় হোমিওপ্যাথির ভূমিকা নিয়ে টুইট করে ট্রোলড হন অমিতাভ। তিনি লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক যে ভাবে করোনা মোকাবিলায় চেষ্টা চালাচ্ছেন তাতে হোমিওপ্যাথি থেকে উপকৃত একজন মানুষ হিসেবে আমি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমি আশা রাখছি, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারে ভারত গোটা বিশ্বকে পথ দেখাবে।’ এখানেই শেষ নয়। কিছুদিন আগে একটি ভুয়ো ওয়েবসাইটকে করোনা ড্যাশবোর্ড বলে ভুল চিহ্নিত করেন তিনি। ট্যুইটারে লেখেন, অবশেষে করোনার খবর যাচাই করার জন্য একটা অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের খোঁজ পেলাম।
এভাবে একাধিকবার ভুল এবং ভুয়ো খবর ও তথ্য শেয়ার করেছেন বলিউডের মেগাস্টার। আর সেগুলি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করে তিনি তাঁর ৪২ মিলিয়ন ফলোয়ার্সকে বিভ্রান্ত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নেটিজেনদের অনেকে দাবি তুলেছেন ট্রাম্প কিংবা বচ্চন, যে কোনও প্রভাবশালী ও বিখ্যাত ব্যক্তির ব্লগিং তথ্যের ফ্যাক্ট চেক হোক, তাতে বিভ্রান্তি কমবে এই ফেক নিউজের রমরমার দিনে।
Comments are closed.