আরও খারাপ হবে পরিস্থিতি, কিছু দেশ ভুল পথে চলছে করোনা মোকাবিলায়, সতর্কবার্তা WHO র! কোন দেশকে ইঙ্গিত, জল্পনা
খারাপ থেকে খারাপতর হতে পারে করোনা পরিস্থিতি। সমস্ত দেশ স্বাস্থ্যপরিষেবা নিয়ে এখনই সাবধান না হলে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে, সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO র।
প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ছড়িয়েছে ১ কোটি ৩১ লক্ষ, মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার মানুষের। ভারতে সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছুঁইছুঁই। মারা গিয়েছেন ১৩ হাজার ৭০০-র বেশি মানুষ। কিন্তু এখনই থামার সম্ভাবনা নেই এই অতিমারির। বরং উত্তরোত্তর খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি। সোমবার এমনই আশঙ্কার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেনেভার প্রধান কার্যালয় থেকে এক ভার্চুয়াল বিবৃতিতে ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাধানোম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বহু দেশই ভুল পথে চলছে। কিন্তু এই ভাইরাস মানব জীবনের প্রধান শত্রুর জায়গা নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যদি প্রাথমিক কিছু সাবধানতাই না নেওয়া হয়, তবে এই প্যানডেমিক (অতিমারি) চলতেই থাকবে। খারাপ থেকে খারাপতর হতে থাকবে পরিস্থিতি। কিন্তু এই পথে যেতে দেওয়া যাবে না, সাবধানবাণী WHO এর ডিরেক্টর জেনারেলের।
তিনি আরও জানান, এশিয়া ও ইউরোপের কিছু দেশ করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও বাকিরা গা ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছে। নির্দিষ্ট করে কারও নাম না করে টেড্রোস জানান, করোনা নিয়ে কিছু রাজনৈতিক নেতার বিভ্রান্তিকর ঘোষণার ফলে মানুষ আরও বিপথে গিয়েছে, তাদের বিশ্বাস টলেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা নিয়ে কিছু দেশ যে গা ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছে, সেদিকেই ইঙ্গিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রসঙ্গত, নতুন করে যে করোনা সংক্রমিতের কেস ধরা পড়ছে, তার অর্ধেকই আমেরিকার। তবে বহু দেশই নতুন করে লকডাউনের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে হংকংয়ে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। গণপরিবহণ ব্যবহারের সময় মুখে মাস্ক না থাকলে ৬৪৫ ডলার জরিমানা ধার্য হয়েছে সেখানে। করোনার হটস্পট নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ঢোকা সবাইকে সেল্ফ কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। নিউইয়র্কে ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আমজনতাযে নতুন করে সাবধান করা হচ্ছে। তাদের কাছে আবেদন করা হচ্ছে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলার জন্য, বোঝানো হচ্ছে মুখে মাস্ক পরার উপকারিতা নিয়েও। ওদিকে জাপান সরকার ঘোষণা করেছে, পরিস্থিতির উপর নজর রেখে ফের একবার জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হতে পারে। লকডাউনের জন্য যেন তৈরি থাকে আমজনতা। ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ার মুখে রাস্তায় বেরনো মানুষ থেকে দোকানের বিক্রেতাকে মুখে মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
Comments are closed.