করোনা সংক্রমণ রুখতে অধিক কার্যকরী বাড়িতে তৈরি মাল্টি-লেয়ার ফেস মাস্ক, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভালভ লাগানো এন ৯৫ মাস্ক সুরক্ষিত নয়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতেও তা কার্যকরী নয়। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সরকারকে চিঠি লিখে কিছুদিন আগেই ভালভ লাগানো এন ৯৫ মাস্ক ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
এদিকে করোনা আবহে মানুষের নিরাপত্তার অন্যতম হাতিয়ার মাস্ক নিয়ে চলছে দেদারে কালোবাজারি। এই অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন, বাড়িতে তৈরি মাল্টি লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে যথেষ্ট কার্যকরী। ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী রায়না মেসিনটায়ারের নেতৃত্বে এই পরীক্ষায় সিঙ্গেল ও ডাবল লেয়ারের কাপড়ের মাস্কের সঙ্গে সার্জিকাল মাস্কের তফাৎ বিশ্লেষণ করা হয়। টেলরড এলইডি লাইটিং সিস্টেম ও হাইস্পিড ভিডিও ক্যামেরা ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, কথা বলার সময় যে ড্রপলেট ছড়ায় তা সাধারণ কাপড়ের তৈরি সিঙ্গেল মাস্কেই আটকে যায়। তবে ডাবল বা একাধিক লেয়ারের মাস্ক হলে তা পুরোপুরি অভেদ্য হয়। যা সার্জিকাল মাস্কের মতোই কার্যকরী। সম্প্রতি ব্লুমবার্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জার্নাল থোরাক্সে প্রকাশিত এই রিপোর্টে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে বেরনো ড্রপলেট আটকাতে ডাবল বা ট্রিপল লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক অত্যন্ত কার্যকরী এবং বিজ্ঞানসম্মত।
প্রসঙ্গত, করোনা বিধ্বস্ত বিশ্বে সংক্রমণ রুখতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হলেও বিপুল চাহিদার ফলে তার যোগান দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। মেডিক্যাল মাস্কের অভাবে অসুবিধায় পড়ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এদিকে সেই মাস্ক মুখে পরে ঘুরছেন সাধারণ মানুষ। একই অবস্থা এন ৯৫ মাস্কের ক্ষেত্রেও। জনসমাজে ধারণা তৈরি হয়েছে, বাড়িতে তৈরি কাপড়ের মাস্ক মোটেও ভাইরাস রোধে সক্ষম নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, কাপড়ের মাস্ক, যদি ঠিকমতো ব্যবহার করা যায়, তাহলে সার্জিকাল মাস্কের মতোই সুরক্ষা প্রদানে সক্ষম।
এই প্রেক্ষিতে কিছুদিন আগেই আমেরিকার সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফে সাধারণ মানুষকে বলা হয় সার্জিক্যাল ফেস মাস্কের বদলে বাড়িতে তৈরি সাধারণ কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করুন। কিন্তু তাতে সাড়া মেলেনি। এবার গবেষণার ফলও বলছে সেই কথাই।
Comments are closed.