কোভিড ১৯ অতিমারির মধ্যে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর লাগাতার কর্মী ছাঁটাই দেখে চমকে উঠেছি। এটা আসলে শীর্ষ নেতৃত্বের সহানুভূতির অভাবের পরিচয় দেয়। মন্তব্য টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রতন টাটার। ভারতীয় কোম্পানিগুলোর নীতি নির্ধারকদের কাছে তাঁর প্রশ্ন, এই আপনার নৈতিকতার নমুনা?
কাজে গেলে করোনার আতঙ্ক, ঘরে বসলে চাকরি হারানোর ভয়। উভয় সংকটে বিদ্ধ দেশের চাকরিজীবীরা। তথ্যপ্রযুক্তি, গাড়ি শিল্প থেকে সংবাদমাধ্যম, সমস্ত ক্ষেত্রেই এক হাল। খরচ কমাতে ব্যাপকহারে ছাঁটাই করছে প্রায় সব সংস্থা। এবার কর্মী কমিয়ে টিকে থাকার পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করলেন টাটা সন্স ও টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটা। তাঁর কথায়, কর্মী ছাঁটাই সংস্থার সমস্যার সমাধান হতে পারে না। মহামারি পরিস্থিতিতে কর্মী ছাঁটাইকে অসংবেদনশীলতার পরিচয় বলেও মন্তব্য করেছেন রতন টাটা। নিউজ পোর্টাল YourStory কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রতন টাটা বলেন, কোনও প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রতি সংবেদনশীল না হলে বাজারে টিকে থাকা অসম্ভব।
করোনা পরিস্থিতিতে সব ক্ষেত্রই কম-বেশি প্রভাবিত। রতন টাটা বলেন, এসব সত্ত্বেও সবাই মিলে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার একটা পথ বের করতে হবে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম একটা সমাধানের পথ হতে পারে, কিন্তু কর্মী ছাঁটাই কি আদৌ কোনও সমাধান? প্রশ্ন রতন টাটার। ভুলে গেলে চলবে না, সব থেকে কঠিন সময়েই নতুন নতুন পথ বেরোয়।
করোনা পরিস্থিতির সুযোগে ভারতে বহু সংস্থা ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই করেছে, এখনও সেই প্রক্রিয়া চলছে। তবে দেশের অন্যতম শিল্প সংস্থা টাটা গোষ্ঠী থেকে এখনও পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর পাওয়া যায়নি। তবে উচ্চপদস্থ কর্মীদের ২০ শতাংশ বেতন কমেছে। অতিমারি পরিস্থিতিতে টাটা গোষ্ঠীর একাধিক ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হয়েছে। তবে ছাঁটাই হননি কোনও কর্মী। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে লাগাতার ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ মতামত রাখলেন ভারতীয় শিল্প জগতের অন্যতম প্রাণপুরুষ।
Comments are closed.